করোনা মোকাবিলায় দেশের জেলাগুলির ৩ টি ভাগ, ১৭০ টি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত
করোনা মোকাবিলায় দেশের জেলাগুলির ৩ টি ভাগ, ১৭০ টি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত
প্রথমদফার লকডাউনের শেষের দিন প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ২০ এপ্রিল থেকে দেশ কিছু সেক্টরকে লকডাউন মুক্ত করে দেওয়া হবে। এর ঠিক পরের দিনই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেশের ১৭০ টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হল। পাশাপাশি ২০৭ টি জেলাকে নন-হটস্পট হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ঘোষণা
প্রতিদিনের মতো বুধবারেও সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। সেখানে তিনি বলেন, দেশের জেলাগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তা হল হটস্পট জেলা, হটস্পট বিহীন জেলা এবং প্রভাব না পড়া জেলা।
জেলাগুলিতে নজরদারি
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, যেসব জেলা থেকে করোনা ভাইরাসের রোগী পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু হটস্পট নয়, সেইসব জেলাগুলিকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণের কৌশল শুরু করতে হবে। সেখানে আরও জানানো হয়েছে, হটস্পট চিহ্নিত জেলাগুলিতে বিশেষ দল গঠন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালাতে হবে, নতুন আক্রান্তের খোঁজ করতে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব আরও জানিয়েছেন, যেসব জায়গায় করোনা নিয়ন্ত্রণের কৌশল শুরু করা হয়েছে, সেখানে কোনও যাতায়াত বরদাস্ত করা হবে না, একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া।
ভারতে এখনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি
লব আগরওয়াল আরও জানিয়েছেন, ভারতে এখনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। তবে কোনও কোনও জায়গায় স্থানীয়ভাবে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতে নতুন করে আক্রান্ত ১০৭৬ জন
স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১০৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯০৬ জন। এঁদের মধ্যে সক্রিয় ১০০৬৯ জন। ১৪৩২ জনের রোগ মুক্তি ঘটেছে। ৪০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।