স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা! ঝুঁকির কারণে বাতিল করা হল এইসব ওষুধ
দেশের বাজারে চালু ৩২৮ টি ওষুধের তৈরি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এছাড়াও আরও ছটি ওষুধের ওপর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে।
দেশের বাজারে চালু ৩২৮ টি ওষুধের তৈরি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এছাড়াও আরও ছটি ওষুধের ওপর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এই সব ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন অফ ড্রাগকে নিষিদ্ধ করতে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঝুঁকির কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই নির্দেশিকার ফলে প্রায় ছয় হাজার ব্র্যান্ডের অতি পরিচিত ওষুধ বাজারে আর পাওয়া যাবে না। প্রচলিত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে, ব্যথার ওষুধ স্যারিডন, চামরার ক্রিম পেনড্রাম, ডায়াবিটিসের গ্লুকোনর্ম পিজি, লুপিডিক্লস্ক অ্যান্টিবায়োটিক এবং ট্যাক্সিম এজেড-এর মতো অ্যান্টিবায়োটিক।
তবে বাতিলের তালিকার বাইরে চলে গিয়েছে, ফেনসিডিল কাফ সিরাপ, লিঙ্কটাস, ডি কোল্ড টোটাল, কোরেক্স কাফ সিরাপ।
২০১৬-র মার্চে সরকার ৩৪৪ টি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন বাতিল করেছিল। পরবর্তী পর্যায়ে এরসঙ্গে আরও পাঁচটি যুক্ত হয়েছিল। যদিও ওযুধ প্রস্তুতকারীদের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। ২০১৭-র ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বোর্ডের তরফে ৩২৮টি ওষুধের বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকার সঙ্গে সহমত পোষণ করা হয়।
তবে ছটির ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশনের ওষুধ তৈরি এবং বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে ৩৪৪ টি ওষুধের তালিকায় থাকা ১৫ টি ওযুধের ক্ষেত্রে সরকার ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডের কোনও রকম রিপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে না। কেননা ওযুধগুলি দেশে ১৯৮৮ সালের আগে থেকেই তৈরি হয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কাশির সিরাপ, ব্যথার ওষুধ। যার সারা বছরের বাজার মূল্য প্রায় ৭৪০ কোটি টাকা। তবে এই ১৫ টি ওযুধ কতটা ঝুঁকির তা নিয়ে সরকার নতুন করে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের নির্দেশিকায়।
অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক নামে একটি সামাজিক সংগঠন জানিয়েছে, যে ওযুধগুলি বাতিল করা হয়েছে, সারা বছরে তার বাজাল মূল্য প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। যা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তাদের দাবি সারা ভারতে চালু ওযুধগুলির এক চতুর্থাংশ এই নিষেধাজ্ঞায় আওতায় আসা উচিত। যার বাজার মূল্য সারা বছরে প্রায় ১.৩ ট্রিলিয়ন।