মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ছিল এমনই স্বপ্ন! মোদী নিজেই জানিয়েছেন সে-কথা
যখন তিনি প্রথমবারের জন্য গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তিনি রাজ্যকে দক্ষিণ কোরিয়া হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। দেরাদুনে ইনভেস্টর সামিটের উদ্বোধনে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী।
যখন তিনি প্রথমবারের জন্য গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তিনি রাজ্যকে দক্ষিণ কোরিয়া হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। দেরাদুনে ইনভেস্টর সামিটের উদ্বোধনে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেসময় ছিল না কোনও অভিজ্ঞতা। এক সাংবাদিক বন্ধুর প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন মোদী।
দেশে রাজ্যের ক্ষমতা অনেক ছোট দেশের থেকে বেশি
দেরাদুনে ইনভেস্টর সামিটে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, দেশের রাজ্যগুলির যা ক্ষমতা রয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশেরই তা নেই। অনেক ছোট দেশের যা সম্ভাবনা রয়েছে, দেশের রাজ্যগুলির তার থেকে বেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: এবার রায়বরেলিতেই কড়া টক্কর! গান্ধী পরিবারকে কড়া চ্যালেঞ্জ মোদীর বিশ্বস্ত মন্ত্রীর]
গুজরাতকে দক্ষিণ কোরিয়া বানাতে চেয়েছিলেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করে বলেন, প্রথমবার তিনি গুজরাতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০০১-এর ৭ জানুয়ারি। সেসময় সরকার কী, কিবা এসম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতাই তাঁর ছিল না। তিনি ছিলেন একেবারেই নতুন। সেই সময় এক সাংবাদিক বন্ধুর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, গুজরাতকে দক্ষিণ কোরিয়া বানাতে চান। গুজরাতের উন্নয়নে কাকে আইডল বানাতে চান, প্রশ্ন ছিল ওই সাংবাদিকের। অনেকেই উত্তরে বলবেন, আমেরিকা কিংবা ইংল্যান্ড। কিন্তু তাঁর উত্তর ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। পরে সেই সাংবাদিককে তিনি বলেছিলেন, গুজরাত আার দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা প্রায় এক।
[আরও পড়ুন: এবারে শহরে হাত দিলেন মুকুল রায়! বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক]
দেশে ব্যবসার অনুকূলে নানা পদক্ষেপ
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জানান, দেশে ব্যবসার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। দেশে কর কাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কর কাঠামোকে আরও স্বচ্ছ্ব করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশে ব্যাঙঅকিং সিস্টেমও শক্তিশালী হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: মোদীর স্বপ্নকে 'চ্যালেঞ্জ'! ফের প্রকাশ্যে প্রস্রাব বিজেপির মন্ত্রীর, ছবি হল ভাইরাল]
৪০০ স্টেশনের আধুনিকীকরণ
সারা দেশে ৪০০ রেল স্টেশনকে আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০০ টি নতুন এয়ারপোর্ট এবং হেলিপ্যাড তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে মেডিকেল সেক্টরে বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়াল, রবিশঙ্কর প্রসাদও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে।