'উদারতম' ভারতীয় HCL-এর শিব নাদার, বছরে কত দান করেন অম্বানী?
সর্বাধিক দান করার জন্য 'উদারতম' হিসেবে তকমা পেলেন HCL -এর প্রতিষ্ঠাতা শিব নাদার। বছরে ১ হাজার ১৬১ কোটি দান করেছেন তিনি। ২০২২-এর এডেলগিভ হুরুন ইন্ডিয়া ফিলানথ্রপি লিস্ট-এ শিব নাদারের নাম প্রকাশ হয়েছে। গত বছর এই তালিকায় উইপ
সর্বাধিক দান করার জন্য 'উদারতম' হিসেবে তকমা পেলেন HCL -এর প্রতিষ্ঠাতা শিব নাদার। বছরে ১ হাজার ১৬১ কোটি দান করেছেন তিনি। ২০২২-এর এডেলগিভ হুরুন ইন্ডিয়া ফিলানথ্রপি লিস্ট-এ শিব নাদারের নাম প্রকাশ হয়েছে। গত বছর এই তালিকায় উইপ্রো-র আজিম প্রেমজির নাম ছিল প্রথমে। তারপর ছিল নাদারের নাম।
এবার প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি দান করে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন শিব নাদার।
এবছর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আজিম প্রেমজি। বছরে তাঁর দানের পরিমান ৪৮৪ কোটি। এডেলগিভ হুরুন ইন্ডিয়া-র তরফে বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। মূলত পরোপকার বা দানের ক্ষেত্রে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছেন শিব নাদার। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কথা। যার মধ্যে রয়েছে শিব নাদার ইউনিভার্সিটি, শিব নাদার স্কুল, শিক্ষা ইনিশিয়েটিভ, কিরণ নাদার মিউজিয়াম অব আর্ট।
এবছর নবম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে মুকেশ অম্বানী, গৌতম আদানি, কুমার মঙ্গলম বিড়লা, নিখিল ও নীতিন কামাথের নাম। জিরোধা-র প্রতিষ্ঠাতা নিখিল ও নীতিন কামাথ তাঁদের দানের পরিমান বাড়িয়েছেন ৩০০ শতাংশ। প্রায় ১০০ কোটি দান করেছেন এক বছরে।
এছাড়া এই তালিকায় মহিলাদের মধ্যে সবার ওপরে নাম রয়েছে রোহিনী নিলেকানির। বছরে তিনি দান করেন ১২০ কোটি টাকা। লীনা গান্ধী তিওয়ারি ও অনু আগা বছরে দান করেছেন যথাক্রমে ২১ কোটি ও ২০ কোটি।
রিলায়েন্স কর্তার স্থান তালিকায় তৃতীয়। মুকেশ অম্বানী এক বছরে দান করেছেন ৪১১ কোটি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মূলত দান করেছেন তাঁরা। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল অক্সিজেন দেওয়ার বিষয়টি। করোনার ঢেউ চলাকালীন প্রতিদিন ১০০০ টন অক্সিজেন উৎপন্ন করেছে তাঁর সংস্থা। করোনাকালে বিনামূল্যে ১ লক্ষ ছাত্রের জন্য সেই অক্সিজেন বিনামূল্যে পাঠানো হয়েছে।