চাপের মুখে হাথরাসের এসপি-ডিএসপিকে বদল, পায়ের তলার জমি সরছে যোগী সরকারের?
হাথরাসের ঘটনায় বারবার পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবং ঘরে বাইরে চাপে পড়েই এবার হাথরাসের এসপি এবং ডিএসপিকে সরালেন যোগী আদিত্যনাথ। এর আগে বারংবার প্রশাসনের অকর্মন্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে।
ড্যামেজ কন্ট্রোলে যোগী
বছর কুড়ির যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে বারবার আঙুল উঠছিল যোগী সরকারের দিকে। যদিও পুলিশ দাবি করে, ফরেন্সিক রিপোর্ট নাকি বলছে যে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ নেই। আর এরপরই প্রতিবাদের কণ্ঠ যেন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। আর এই নিয়ে অবশেষে নিরবতা ভাঙলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। নামলেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে।
যোগীর টুইট
এর আগে টুইটারে যোগী আদিত্যনাথ লেখেন, 'রাজ্যের সব মা ও বোনের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উত্তরপ্রদেশের সরকার।' প্রসঙ্গত, গতকালই নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে কথা বলেন যোগী আদিত্যনাথ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ও নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ লাখ টাকা, একটি বাড়ি ও পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে
হাথরাস ইস্যুতে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে যোগীর পুলিশকে। এই পরিস্থিতিতে আদিত্যনাথের এই টুইট যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে গতকাল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী হাথরাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করতে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। আটক করা হয় রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আক্রমণ
এরপর আজ রাজধানীর বাল্মিকী মন্দিরে হাথরসের নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। সেখানে হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদে তিনি বলেন, 'আমাদের বোন যাতে ন্যায় বিচার পায়, তা আমরা নিশ্চিত করব। যতক্ষণ না সে বিচার পাচ্ছে, আমরা চুপ করে বসে থাকব না।'
নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা অসহায়
যোগী সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে তিনি আরও বলেন, 'সরকার কোনও সাহায্য করছে না। নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা অসহায় হয়ে পড়ে রয়েছেন। আমরা এই ইশুতে সরকারের উপর রাজনৈতিকভাবে চাপ তৈরি করে যাব।' নির্যাতিতার সৎকার পর্যন্ত হিন্দু রীতি মেনে হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।