হাথরসের বিভীষিকা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে এনসিআরবির তথ্যের সত্যতা! কোন ভয়াবহ পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে
২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ড, ২০১৯ সালে হায়দরাবাদের ঘটনা, এর মাঝে কাঠুয়াকাণ্ড , এমন বহু ঘটনা দেশ দেখে এসেছে। ক্ষোভের আগুনে দোষীদের চরম শাস্তির দাবি উঠেছে। ২০২০ সালের শুরুতে দেখা গিয়েছে নির্ভয়া কাণ্ডে ধর্ষকদের ফাঁসি। তবুও তার পরে ঘটে গেল হাথরসের ঘটনা। বহু 'কেন'-র উত্তর এখনও পাওয়া বাকি দেশবাসীর। তবে মহিলাদের ওপর নির্যাতন ঘিরে এনসিআরবির নতুন ডেটা রীতিমতো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে, হাথরস সেই তথ্যাবলীর কত বড় উদাহরণ!
মহিলাদের ওপর নির্যাতনের পরিস্থিতি দেশে
এনসিআরবির ২০১৯ সালের রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালের থেকে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের পরিমাণ ও অপরাধের পরিমাণ ৭. ৩ শতাংশ বেড়েছে। যা নিঃসন্দেহে প্রশাসনের কাছে একটি সতর্ক বার্তা। উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর মহিলাদের ওপর অত্যাচার ৩.৫ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে ভারতে।
দলিত মহিলাদের ওপর অত্যাচার
হাথরসের নির্যাতিতা একজন দলিত ছিলেন। এদিকে, এনসিআরবির রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালের পর থেকে দলির মহিলাদের ওপরে ৭. ৩ শতাংশ অপরাধের ঘটনা বেড়েছে দেশে। ফলে এটা প্রমাণিত যে এনসিআরবির ডেটার সত্যতাই হাথরাস প্রমাণ করছে। এনসিআরবির তথ্য বলছে, প্রতি লাখ মহিলার বিচারে ২০১৯ সালে ৬২.৪ শতাংশ অপরাধের হার ছিল। ২০১৮ সালে যা ছিল ৫৮.৮ শতাংশ।
উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে ভয়াবহ পরিস্থিতি!
এনসিআরবির ডেটা বলছে, উত্তরপ্রদেশে নিচু বর্ণের মহিলাদের ওপর অত্যাচারের হার সবচেয়ে বেশি। যার শতাংশ ২৫.৮। হাথরাসের ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল সেটা। দলিত মহিলাদের ধর্ষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রাজস্থানে, তারপর রয়েছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। রাজস্থানে ৫৯৯৭ টি ধর্ষণ রেজিস্টার হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে ৩, ০৬৫ টি, মধ্যপ্রদেশে ২৪৮৫ টি ধর্ষণের ঘটনা ১৫, ৯ লাখের জনসংখ্যার মধ্যে রেজিস্টার হয়েছে। উল্লেখ্য, এমন বহু ঘটনা দেখা গিয়েছে, যেখানে মহিলা নিজে এসে পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করেছেন।
আত্মীয় বা স্বামীর হাতে নিগ্রহের ঘটনা বাড়ছে!
এনসিআরবির ডেটা বলছে, দেশে ক্রমাগত মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে যে ঘরানা দেখা যাচ্ছে, তাতে স্বামী বা আত্মীয়ের হাতে নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। ৩০.৯ শতাংশ স্বামী বা আত্মীয়ের অত্যাচারের ঘটনা, ২১.৮ শতাংশ শ্লীলতাহানির, অন্যদিকে, দেশে ১৭.৯ শতাংশ অপহরণের ঘটনা, ও ৭.৯ শতাংশ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।