'অসহায়ের মতো কেঁদেছি', হাথরাস নির্যাতিতার পরিবার এই মুহূর্তে কী চাইছে! তুলে ধরলেন প্রিয়াঙ্কা
হতচকিত অবস্থায় মেয়ের ক্ষতবিক্ষত আহত অবস্থা দেখে তাঁকে কাপড় দিয়ে ঢাকতে যাওয়া, আর সেই অচৈতন্য মেয়েকে তুলে নিয়ে না যেতে পারা। এই দুটি ভয়ঙ্কর ছবি এখনও নির্যাতিতার মায়ের মনে দাগ কেটে রয়েছে। হাথরাসের নির্যাতিতার মা আজও গুমরে কেঁদে চলেছেন সেই নারকীয় পরিস্থিতিতে মেয়ের যন্ত্রণার কথা ভেবে, মেয়ের পাশবিক মৃত্যুর কথা ভেবে। এই পরিবারের সঙ্গে শনিবারই দেখা করেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। পরিবার এই মুহূর্তে কী কী চাইছে, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কাদের কী জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার
কয়েকদিন আগে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল পাথরাসের বুল গারহি গ্রামে যেতে গিয়ে এক মহিলা সাংবাদিককে কিভাবে যোগী সরকারের পুলিশ আটকে দিয়েছিল। সাংবাদি ক জানিয়েছিলেন যে, 'আমি চ্যানেলের মাইক পরিবারের সামনে শুধু রখে দেব, প্রশ্নও করব না, ..', তাঁর দাবি ছিল, এরপর যা হওয়ার হবে। শনিবার সেই পরিবারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল গান্ধী দেখা করতে গেলে পরিবার তাঁদের একাধিক প্রশ্ন তুলে ধরে। জানতে চায় মেয়ের সৎকারের ঘটনা নিয়েও।

কোন কোন প্রশ্ন উঠছে?
প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, মেয়েকে শেষবার চোখের দেখা দেখে, অন্তিম যাত্রার জন্য ফুল জোগাড় করে এনেছিল দরিদ্র দলিত পরিবার। কিন্তু তা দিতে দেওয়া হয়নি। মরদেহ গ্রামে ঢোকার ২ ঘণ্টার মধ্যে সৎকার করা হয়। প্রিয়ঙ্কার দাবি, নির্যাতিতার বাড়ির প্রশ্ন তুলছে, যে দেহটি সৎকার হয়েছে, সেটি যে তাঁদেরই মেয়ের সেটা তাঁরা বিশ্বাস করবেন কী করে?

কোন কোন দাবি নির্যাতিতার পরিবারের?
নির্যাতিতার পরিবার চাইছে, হাথরাসের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে একটি জুডিশিয়ার তদন্ত হোক। এছাড়াও হাথরাসের জেলাশাসককে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, এক ভাইরাল ভিডিওতে হাথরাসের জেলাশাসককে দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিতে।

প্রিয়াঙ্কার টুইটে বিস্ফোরক তথ্য
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটে দাবি করেছেন যে , নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, হাথরাসে সেদিন মধ্যরাতে নির্যাতিতার দেহ পেট্রোল দিয়ে পোড়ানো হয়, পরিবারের মত ছাড়াই। এদিকে, এক টিভি চ্যানেলে দেখা গিয়েছে পুলিশ জানিয়েছে যে ওই সৎকারে নির্যাতিতার পরিবারের মত ছিল। পরিবারকে বারবার দিকভ্রষ্ট করা হয়েছে বলেও প্রিয়ঙ্কার দাবি।