কড়া নিরাপত্তায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের পথে হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবার, তৎপর যোগী সরকার
কড়া নিরাপত্তায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের পথে হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবার, তৎপর যোগী সরকার
চাপে পড়ে শেষে হাথরাস নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা বাড়াল যোগী সরকার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে আজ হাজিরা দেওয়ার কথা। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এলাহাবাদ হাইকোর্টে। ভোরবেলাতেই তাঁরা রওনা হয়ে গিয়েছেন। ৩৮০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে লখনউয়ে পৌঁছবেন তাঁরা।
লখনউ হাইকোর্টের পথে নির্যাতিতার পরিবা
লখনউ হাইকোর্টে আজ হাজিরা দেওয়ার কথা হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবারের। ভোরেই তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন লখনউের পথে। ৩৮০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তবে লখনউয়ে পৌঁছতে পারবেন তাঁরা। সেখান থেকে যােবন এলাহাবাদে। নির্যাতিতার পরিবারকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। জেলা শাসক এবং পুলিস সুপারও রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে।
নিরাপত্তা নিয়ে আক্রমণ শিবসেনার
এর আগে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা না দেওয়া নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিল শিবসেনা। দলের মুখপত্র সামনায় উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে লেখা হয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াতকে মোদী সরকার ওয়াই প্লাস ক্যাটেগোরির নিরাপত্তা দিতে পারেন আর হাথরাস নির্যাতিতার পরিবারকে ভগবানের ভরসায় ছেড়ে রেখেছেন।
জেলাশাসকের হুমকি
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা অভিযোগ উঠেছিল যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। হাথরাসে জেলা শাসক নির্যাতিতার পরিবারের উপর সংবাদ মাধ্যমেপ সামনে বেশি কথা না বলার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। কংগ্রেস তাই নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন।
জোর করে দাহ
হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার দেহ জোর করে দাহ করে পুলিস। েসসময় আটকে রাখা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে। তারপরেই নারকীয় এই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈিতক দল এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন।