বেপাত্তা রাম রহিমের পরিবার, হদিশ নেই বহু অস্ত্র ও নগদের, নেপথ্যে আর বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত
রাম রহিমের পরিবারকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠল হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে।
গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের পরিবারকে সিরসায় ডেরা সাচ্চার হেড কোয়ার্টার থেকে পালাতে সাহায্য করেছে হরিয়ানা সরকার। এমনই অভিযোগ উঠল হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু পালানোই নয়, নগদ টাকা ও তথ্যপ্রমাণ সরাতেও হরিয়ানা সরকার মদত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[আরও পড়ুন:'ডেরা'-য় রয়েছে 'আত্মঘাতী বাহিনী',উদ্ধার হওয়া নথি ঘিরে চাঞ্চল্য, চিন্তিত পুলিশ]
সিরসায় ডেরার মূল অফিসে অভিযান চালানোর সময়ে পুলিশই তাদের পালাতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মূল আশ্রমের ভেতরে প্রচুর পরিমানে নগদ টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে সূত্রের খবর। এই আগ্নেয়াস্ত্র ও টাকা বাজেয়াপ্ত হলে খুনের মামলা রাম রহিম আরও বিপাকের পড়তে পারত বলেই অনুমান। হরিয়ানা পেরিয়ে রাজস্থানের কোনও গোপন ডেরায় রাম রহিমের পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডেরা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিরসার আশ্রমে কোটি কোটি টাকা নগদ ছাড়াও প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র জমা করা হয়েছিল। এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলত বলে জানা গিয়েছে। আশে- পাশের গ্রামবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ ও ২৬ অগাস্ট মাঝরাতে ডেরা থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি বেরতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল তাঁদেরও। রাম রহিমের গুণ্ডাবাহিনী সেই অস্ত্র-শস্ত্র গোপনে অন্য কোথাও পাচার করেছে। যার ফলে ডেরায় পুলিশি অভিযানে একটিও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি, পাওয়া যায়নি নগদ টাকাও। এসবের পেছনে পুলিশি নিস্ক্রীয়তা বা পুলিশের মদতের অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকী রাম রহিমের একটি বিলাসবহুল গাড়িও পুড়িয়ে দেয় গুণ্ডাবাহিনী। এই গাড়িতেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য এসব অভিযোগই প্রত্যাশিতভাবেই খারিজ করেছে হরিয়ানা পুলিশ। রাতের অন্ধকারে ডেরা থেকে কোনও গাড়ি বাইরে যাওয়ার খবর তাঁদের কাছে নেই বলেই দাবি করেছেন হরিয়ানার পুলিশ প্রধান বি এস সন্ধু। ডেরা সাচ্চার সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে। অপরদিকে সাজা ঘোষণার পর থেকে খোঁজ নেই রাম রহিমের ছায়াসঙ্গিনী হানিপ্রীতের। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।