হরিয়ানার মহাপঞ্চায়েতে ৫ দফা দাবি গৃহীত আন্দোলনরত কৃষকদের! মোদী-শাহকে বার্তা
তিন কৃষি আইন বাতিল (farm laws) এবং কৃষক সংগঠনগুলির ৪০ সদস্যের নেতৃত্বেই কৃষকরা তাদের লড়াই চালিয়ে যাবেন। বুধবার হরিয়ানার (haryana) জিন্দ জেলায় কান্দেলা মহাপঞ্চায়েতের (maha panchayat) বৈঠক বসেছিল। সেখানে হাজির ছিল
তিন কৃষি আইন বাতিল (farm laws) এবং কৃষক সংগঠনগুলির ৪০ সদস্যের নেতৃত্বেই কৃষকরা তাদের লড়াই চালিয়ে যাবেন। বুধবার হরিয়ানার (haryana) জিন্দ জেলায় কান্দেলা মহাপঞ্চায়েতের (maha panchayat) বৈঠক বসেছিল। সেখানে হাজির ছিলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (টিকায়েত)-এক নেতা রাকেশ টিকায়েত। সেখানে ছিলেন হাজারো প্রতিবাদী কৃষকও।
মহাপঞ্চায়েতে পাঁচ দফা প্রস্তাব
এদিনের মহাপঞ্চায়েতে পাঁচ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি কৃষি আইন বাতিল করা, ন্যূনতম সহায়কমূল্যের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, স্বামীনাথন রিপোর্টের প্রয়োগ, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় কৃষকদের অভিযানে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁদের মুক্তি। পাশাপাশি মহাপঞ্চায়েত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনার সিদ্ধান্ত
আন্দোলনরত কৃষকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টিকায়েত বলেন, কৃষক নেতাদের ৪০ সদস্যের কমিটি সমুক্ত কিষাণ ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরুর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। টিকায়েত বলেছেন, বিষয়টা এমনই যেমন সরকার সরপঞ্চকে মাঝপথে পরিবর্তন করবে না, ঠিক তেমনই কৃষকরাও আন্দোলনের মাঝে নেতৃত্ব পরিবর্তন করবে না। এদিন টিকায়েতের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বিকেইউ (রাজেওয়াল)-এর বলবীর সিং রাজেওয়াল এবং বিকেইউ হরিয়ানার গুরনাম সিং চাদুনি। তিনি আরও বলেন, কমিটি ভবিষ্যতের কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বাধা সরাবে খাপের সদস্যরা
সিঙ্ঘু সীমান্তে দিল্লি পুলিশের দেওয়া কংক্রিট ও লোহার ব্যারিকেড প্রসঙ্গে টিকায়েত বলেন, খাপের সদস্যরা এইসব বাধা সরিয়ে দেবে। টিকায়েত আরও বলেন, সিঙ্ঘু এই আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকবে। এদিন টিকায়েতের ভাষণের আগে মঞ্চ ভেঙে পড়ার কারণে অনেকেই অল্পবিস্তর আহত হন।
মহিলাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি
এদিনের মহা পঞ্চায়েতে বহু সংখ্যায় গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁরা কৃষকদের সমর্থনে স্লোগানও দেন। মহা পঞ্চায়েতে যোগ দিতে গাড়ির সারি ছিল প্রায় দুই কিমি লম্বা ।