কৃষক আন্দোলনে জেরবার গেরুয়া শিবির, জোট সঙ্গীর হুমকিতে টলমল বিজেপি সরকার
কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ অব্যাহত৷ তবে সরকারের তরফে আলোচনার সমস্ত রাস্তা খোলা আছে বলে জানান কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর৷ তা সত্ত্বেও এবার বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার হুমকি শরিকের গলায়। এর আগে রাজস্থানের আরএলপি, পাঞ্জাবের অকালি দল সঙ্গ ত্যাগ করেছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে এবার জোট ছাড়ার হুমকি হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী তথা জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌতালার।
এমএমপি-র বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে
এদিন এই বিষয়ে চৌতালা বলেন, 'এমএমপি-র বিষয়টি সুনিশ্চিত না করলে আমরা জোট ছাড়তে বাধ্য হব। আমি যতক্ষণ উপমুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছি, কৃষকদের হিতে কাজ করে যাব। যেদিন দেখব, তা আর করতে পারছি না। সেদিনই আমি পদত্যাগ করব। মনোহরলাল খট্টর সরকার এমএসপি সুরক্ষিত করতে না পারলে আমি ইস্তফা দেব।'
এমএসপি নিয়ে কৃষকদের আশ্বস্ত করে কেন্দ্র
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এমএসপি নিয়ে কৃষকদের আশ্বস্ত করতে চায়৷ তাই তাঁরা তা লিখিত আকারে কৃষকদের দিতে রাজি৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'সরকার কৃষকদের লিখিতভাবে আশ্বস্ত করতে রাজি যে এই নতুন আইনে এমএসপির উপর কোনও প্রভাব পড়বে না এবং আগের মতোই এটি চলতে থাকবে।'
কৃষি আইন নিয়ে সরকারের প্রস্তাবের উপর চর্চার আহ্বান
কৃষি আইন নিয়ে সরকারের দেওয়া প্রস্তাবের উপর চর্চা করার আহ্বানও জানান কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী৷ তিনি কৃষক সংগঠনগুলির কাছে আবেদন করেন, তাঁদের যে কোনও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে সরকার তৈরি৷ তাই তাঁদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি যেন আলোচনা করে দেখা হয়৷
টালমাটাল খট্টরের গদি
এদিকে এমএসপি নিয়ে হরিয়ানায় বিজেপির শরিক জেজেপি বেসুরো গাইতে শুরু করতেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করে কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস আশা করছে যে আপনা আপনি বিজেপির সরকারের পতন হবে। বর্তমানে ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপির দখলে রয়েছে ৪০টি আসন, জেজেপির ঝুলিতে আছে ১০।
জেজেপিকে কাছে টানতে মুখিয়ে কংগ্রেস
কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন ৩১ জন বিধায়ক। এছাড়া অন্যান্য নির্দল ছোটো দল মিলিয়ে ৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। তো অঙ্কের নিরিখে বিজেপি বাদে সবাইকে সঙ্গে নিতে পারলে কংগ্রেস সরকার গঠন করতে সক্ষম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার পার করতে কংগ্রেসের জেজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার পর আরও ৫ জন বিধায়কের প্রয়োজন পড়বে।
অমিত শাহর আগে আগামীকালই রাজ্যে মোহন ভাগবত! হঠাৎ কেন বাংলায় আরএসএস প্রধান?