হরিয়ানার পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েও স্বীকার করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী খট্টর
হরিয়ানায় হিংসার ঘটনায় বিরোধীদের অভিযোগ ও সমালোচনা উড়িয়ে দিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর।
ডেরা সাচ্চার ভক্তদের তাণ্ডবে কোনঠাসা হয়েও তা স্বীকার করতে রাজি নন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। গত ২৫শে অগাস্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁর প্রশাসন ভাল করেছে বলেই বুধবার দাবি করেছেন খট্টর। এদিনই হরিয়ানার হিংসার ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি অমিত শাহের কাছে রিপোর্ট জমা দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রাম রহিমের গুম্ফার ভিতরের ছবি ফাঁস, বিলাসবহুল অন্দরমহল চমকে দেবে আপনাকে]
গত শুক্রবার গুরমিত রাম রহিমের ভক্তদের তাণ্ডবে জ্বলেছিল গোটা হরিয়ানা। পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও ডেরা ভক্তদের আটকাতে পারেনি। এমনকী একটা সময়ে ডেরা ভক্তদের ঢিল থেকে বাঁচতে পুলিশকেও পালাতে দেখা যায়। সেনা থাকলেও তাদের ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছিল। কয়েকশো গাড়ির পাশাপাশি বেশকিছু সরকারি ভবনও পুড়েছিল। এই ঘটনার পরই মনোহর লাল খট্টরকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। পুলিশকে কার্যত কাজ করতে দেওয়া হয়নি বলেই ২৫শে অগাস্ট ওইরকম পরিস্থিতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী খট্টর সরকার একটু তৎপর হলেই প্রাণহানির ঘটনাও এড়ানো যেত বলে দাবি বিরোধীদের।
বুধবার অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামলাতে আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করেছে তাঁর প্রশাসন। সেই কাজে তিনি সফল বলেও দাবি খট্টরের। রাজ্য সরকার যা ঠিক তাই করেছেন, বিরোধীরা কী বলছে তাতে কিছু আসে যায় না। সেইসঙ্গে বিরোধীদের তোলা পদত্যাগের দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
খট্টর যাই দাবি করুন, ওইদিনের তাণ্ডব ও জ্বলন্ত হরিয়ানার ছবি থেকেই স্পষ্ট, খট্টর সরকার কার্যত হিংসা থামাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মেয়ের সঙ্গেই সহবাস করতেন বাবা রাম রহিম, অভিযোগ প্রাক্তন জামাইয়ের]