কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চে পা রাখতে পারলেন না হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী! ভাঙচুরের পর কোন সুর বিজেপি নেতার
বিজেপি শাসিত হরিয়ানা কার্যয় কৃষক আন্দোলনের তাপ উত্তাপ টের পেতে শুরু করেছে। এদিন হরিয়ানায় কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার কথা থাকলেও, সভায় তুমুল ভাঙচুরের জেরে শেষ মুহূর্তে সেই সভ বাতিল করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। এরপরই তিনি উগড়ে দেন ক্ষোভ।

ছিঁড়ে ফেলা হল টেন্ট, পাল্টা লাঠি চার্জ
এদিন, কেন্দ্রের কৃষি আিনের বিরোধিতায় যে সমস্ত কৃষক সংগঠনকে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে হরিয়ানার বহু সংগঠন রয়েছে। এদিকে, কৃষকদের নিয়ে এদিন কিষাণ মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি শাসিত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের। তবে কারনালের সেই অনুষ্ঠানে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করীরা, টেন্ট ছিঁড়তে শুরু করেন। মুহূর্তে ভাঙচুর , হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এরপরই অনুষ্ঠান বাতিল করেন খট্টর।

'আমি প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলাম'
ঘটনার পর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান,কৃষি আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হবে না,তবে এই নিয়ে তিনি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে সভায় যাচ্ছিলেন। খট্টরের দাবি, কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা এর নেপথ্যে রয়েছেন। খট্টর বলেন, ' আমি প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিলাম। আমি বক্তব্য রাখতাম। তবে তাতে সমস্যা হতে পারত।'

'উস্কানি দেওয়া হচ্ছে'
স্পষ্ট বার্তায় খট্টর জানান, 'এই আন্দোলন এখানেই শেষ হওয়া উচিত।' তিনি বলেন, এই আন্দোলনে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আর যে সমস্ত বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হচ্ছে, তাঁদের মৃত্যুর নেপথ্যে এই উস্কানি রয়েছে।

বিশ্বাস ভঙ্গ!
এদিন মনোহরলাল খট্টর বলেন, কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছিল যে তারা প্রতীকী প্রতিবাদ দেখাবে। সেই অনুযায়ী তাদের ওপর বিশ্বাস রেখে , ভরসা করে, হরিয়ানা সরকার বন্দোবস্ত করে। এমন পরিস্থিতিতে এই তাণ্ডবের পর সেই বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে বলেও দাবি করেন খট্টর।