মঞ্চ ভাঙচুর, চেয়ার ভেঙে ফেলা, পুলিশ–কৃষক সংঘর্ষ, কৃষি বিল নিয়ে বৈঠল বাতিল হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর
মঞ্চ ভাঙচুর, চেয়ার ভেঙে ফেলা, পুলিশ–কৃষক সংঘর্ষ, কৃষি বিল নিয়ে বৈঠল বাতিল হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর
হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর আন্দোলত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার আগেই উত্তেজনা ছড়ালো। জানা গিয়েছে, কর্নাল সংক্রান্ত একটি গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক করার কথা ছিল কৃষকদের সঙ্গে। কিন্ত কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত কৃষকরা বৈঠকের জায়গা ভাঙচুর করে দেওয়ায় তা বাতিল করে দেওয়া হয়।
প্রতিবাদরত
কৃষক
কেমলা
গ্রামে
ঢোকার
চেষ্টা
করলে
পুলিশ
কাঁদুনে
গ্যাস
ও
জল
কামানের
সহায়তায়
তাঁদের
ছত্রভঙ্গ
করার
চেষ্টা
করে।
কিন্তু
কৃষকরা
গ্রামে
ঢুকতে
সফল
হন
এবং
বৈঠকের
জায়গায়
পৌঁছে
যান।
মোবাইল
ফোনে
তোলা
ভিডিও
ফুটেজে
দেখা
গিয়েছে
যে
কৃষকরা
মঞ্চের
ওপর
উঠে
চিৎকার
করছেন,
চেয়ার
ওপর
থেকে
নীচে
ফেলছেন
এবং
পোস্টার
ছিঁড়ে
ফেলছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর
এই
গ্রামে
আসার
কথা
ছিল
এবং
কৃষকদের
জমায়েতের
সঙ্গে
বৈঠক
করবেন
বলেও
স্থির
করেন।
বৈঠকে
মুখ্যমন্ত্রী
তিনটি
কৃষি
আইনের
সুবিধার
কথাও
জানাবেন
বলে
জানা
গিয়েছিল।
এই
বৈঠক
ঘিরে
সমস্যা
হতে
পারে
জেনে
ভারী
সুরক্ষা
ব্যবস্থার
বন্দোবস্ত
করা
হয়
এবং
বৈঠকের
আগেই
পুলিশ
কর্মীদের
মোতায়েন
করে
দেওয়া
হয়।
বিজেপি শাসিত হরিয়ানা গত নভেম্বরেই সংবাদ শিরোনামে আসে যখন রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে পাঞ্জাব সহ এ রাজ্যের কৃষকদের দিল্লি যেতে আটকাবে। এদিনের ভিডিওতে পুলিশ–কৃষক সংঘর্ষ দেখা গিয়েছে, পুলিশ কৃষকদের আটকাতে ব্যারিকেড, কাঁদুনে গ্যাস ও জল কামানের ব্যবহার করেছে। ব্যাপকভাবে সমালোচনার পর কেন্দ্র সরকার এই আইন সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে একটি বিশাল প্রচার কর্মসূচী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার কর্মসূচি এই অঞ্চলে সমস্যার মধ্যে পড়েছিল কারণ কৃষকরা দিল্লিতে তাদের অবস্থান আরও কঠিন করে তুলেছিলেন।
শুক্রবারই স্থানীয় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গ্রামবাসী ও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, যারা মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকটির প্রচার করছিল। গ্রামবাসী আন্দোলনরত কৃষকদের গ্রামের মধ্যে ঢুকতে বাধা দেওয়ার পরই এই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। রবিবার কংগ্রেসের রণদীপ সূর্যেওয়ালা টুইট করে বলেন, 'শ্রদ্ধেয় মনোহর লাল জি, দয়া করে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত করা বন্ধ করুন কেমলা গ্রামে। যাঁরা আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে তাঁদের অনুভূতি নিয়ে খেলা বন্ধ করুন, দয়া করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। আপনি যদি সত্যিই কথা বলতে চান তবে ৪৬দিন ধরে আন্দোলনে থাকা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করুন।’
বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আসন্ন আসাদউদ্দিনের! যোগী রাজ্যে কোন অঙ্কে মিম প্রধান