
'অ্যান্টি-কনভারশন' বিল পাস করল হরিয়ানার বিজেপি সরকার, বিধানসভা থেকে 'ওয়াকআউট' কংগ্রেসের
বিজেপির অনেকগুলি এজেন্ডার একটি হল ধর্মান্তকরণ রোধ৷ এবার বিজোপি শাসিত রাজ্যে এ নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। এই পদক্ষেপেরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার হরিয়ানা বিধানসভায় হরিয়ানা প্রিভেনশন অফ লফুল কনভার্সন অফ রিলিজিয়ন বিল ২০২২ পাস করিয়েছে মনোহর লাল খট্টরের সরকার৷ এবং বিল নিয়ে আলোচনার সময়ই বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে যায় কংগ্রেস৷

কংগ্রেসের বিরোধিতা এবং বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটের মধ্যে হরিয়ানা প্রিভেনশন অফ লফুল কনভার্সন অফ রিলিজিয়ন বিল ২০২২ পাস করিয়েছে হরিয়ানা সরকার৷ ৪ মার্চ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিলটি পেশ করা হয়েছিল৷ বিলটি সেই সমস্ত ধর্মান্তকরণকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যেগুলি ভুল বুঝিয়ে, বলপ্রয়োগে, অযাচিত প্রভাব খাটিয়ে, জোর করে প্রলোভন বা কোনও প্রতারণামূলক উপায়ে বা বিবাহের মাধ্যমে করা হয়৷ এরকরম প্রতিটি অসৎ উদ্দেশ্যমূলক ধর্মান্তকরণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য করে এই নতুন বিল। সম্প্রতি হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকেও এরকমই বিল পাস হয়েছে। হরিয়ানা প্রিভেনশন অফ লফুল কনভার্সন অফ রিলিজিয়ন বিল ২০২২ অনুসারে, যদি ধর্মান্তকরণ লোভ দেখিয়ে, বলপ্রয়োগে, প্রতারণামূলক উপায় বা জোর করে করা হয়, তাহলে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধানও রয়েছে।
দেশে ফের মহার্ঘ জ্বালানি তেল, 'এবার থালা বাজাও!' বলে কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
এই বিল অনুসারে যদি কোনও ব্যক্তি একজন নাবালক, মহিলা বা তফসিলি জাতি বা উপজাতির একজন ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত করে বা ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে, তাঁকে পাঁচ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এবং সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। অন্যদিকে বিরোধীদল নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা বলেছেন যে এই নতুন আইনের কোনও প্রয়োজন নেই কারণ বর্তমান আইনেই জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের শাস্তির বিধান রয়েছে। আবার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কিরণ চৌধুরী এটিকে হরিয়ানার ইতিহাসে একটি 'কালো অধ্যায়' বলেছেন। তাঁর বক্তব্য এই বিলটি সাম্প্রদায়িক বিভাজন আরও গভীর করবে এবং ভবিষ্যতে এর পরিণতি আরও মারাত্মক হতে পারে।