হরিয়ানায় জয়জয়কার বিজেপির, বলছে টাইমস নাওয়ের সমীক্ষা
হরিয়ানায় জয়জয়কার বিজেপির, বলছে টাইমস নাওয়ের সমীক্ষা
শেষ
হল
মহারাষ্ট্র–হরিয়ানার
বিধানসভা
নির্বাচন।
সোমবার
সকাল
থেকেই
এই
দুই
রাজ্যের
নির্বাচনের
ওপর
পাখির
চোখ
রেখেছিল
সব
রাজনৈতিক
দলই।
সর্বভারতীয়
সংবাদমাধ্যম
টাইমস
নাওয়ের
সমীক্ষা
অনুযায়ী
হরিয়ানাতে
ফের
একবার
বিজেপি
আসতে
চলেছে।
টাইমস
নাও
জানিয়েছে,
বিধানসভা
ভোটে
বিজেপির
সম্ভাব্য
আসন
সংখ্যা
৭১।
অন্যদিকে
কংগ্রেস
পেতে
পারে
১১টি
আসন
এবং
অন্য
রাজনৈতিক
দল
৮টি।
তবে
চূড়ান্ত
ফলাফল
জানতে
হলে
অপেক্ষা
করতে
হবে
২৪
অক্টোবর
পর্যন্ত।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সকাল সাতটা থেকেই ভোটদান পদ্ধতি শুরু হয়ে যায়। যা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টার সময়। হরিয়ানাতে দুপুর ২টো পর্যন্ত ৩৭.১২ শতাংশ রেকর্ড ভোট পড়েছে। যেখানে মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে ৩০.৬৭ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিবসেনা ও ছোট দলগুলি নিয়ে তৈরি 'মহায়ুতি’ লড়ছে কংগ্রেস ও এনসিপির জোট 'মহা–আগাধি’র বিরুদ্ধে।
মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের জন্য ২৩৫ জন মহিলা সহ ৩,২৩৭ জন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ পশ্চিম নাগপুরের বুথে নিজের ভোটদান করেন এবং তিনি ভোটে বেশি করে মানুষের যোগদানের জন্য অনুরোধও করেন। তিনি জানান, নির্বাচন গণতন্ত্রেরই উৎসব। ফড়নবীশ তাঁর স্ত্রী অম্রুতা এবং মাকে নিয়ে ধরমপেঠ এলাকার এক স্কুলে গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন। বিধায়ক হিসাবে দক্ষিণ–পশ্চিম নাগপুরে পাঁচবার জিতে এসেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এই কেন্দ্রে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বণ্দ্বী কংগ্রেসের ডাঃ আশিষ দেশমুখ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত, আরএসএস প্রধান ডঃ মোহন ভাগবতও নাগপুরে তাঁদের অমূল্য ভোটদান করেন। অপরদিকে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও মুম্বইয়ের তারদেও এলাকায় ভোট দিতে আসেন। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী আশিষ শেলার, দলের নেতা পরাগ আলাভনি, শিবসেনার রবীন্দ্র ভাইকর এবং আমির খান, স্ত্রী কিরণ রাও, অভিনেতা–পরিচালক কুণাল কোহলি, বর্ষীয়ান অভিনেতা সুভাষ খোটের মত সেলেবরাও এদিন সকাল সকাল নিজেদের কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন। মুম্বইয়ের সকাল এদিন শরীরচর্চা নয়, বরং ভোটদান দিয়ে শুরু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের পর হরিয়ানা। ৯০টি বিধানসভা আসনের জন্য এখানে বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে নেমেছে কংগ্রেস ও জেজেপি। ১০৪ জম মহিলা সহ ১,১৬৯ জন প্রার্থী এ বছরের বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তবে হরিয়ানাতে প্রধান লড়াই বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যেই। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দর সিং হুডা রোহতকে বিজেপি প্রার্থী সতীশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। জনপ্রিয় হকি খেলোয়াড় সন্দীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে রয়েছেন প্রাক্তন স্পিকার হর মহিন্দর সিং চাঠার ছেলে মণদীপ চাঠা। পাঞ্চকুলাতে মুখোমুখি লড়াই সেখানকার বিধায়ক জিয়ান চাঁদ গুপ্তা এবং প্রাক্তন উপ–মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা চন্দর মোহনের সঙ্গে।
দাদরি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন দঙ্গল গার্ল ববিতা ফোগাট, তাঁর বিপরীতে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সত পাল সাংওয়ান। জেজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। গোটা হরিয়ানাতে তাই বিজেপি–কংগ্রেস–জেজেপির লড়াই। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর প্রেম নগরের কর্নাল বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। সাইকেলে করে তিনি তাঁর পোলিং বুথে আসেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে ফের বিজেপির জয়–জয়কার হবে।
মহারাষ্ট্রে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলিয়ে তিন লক্ষেরও বেশি সুরক্ষা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। হরিয়ানাতেও ৭৫ হাজার পুলিশকে নিযোগ করা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন।
সিএনএন নিউজ ১৮-র বুথ ফেরত সমীক্ষায় হরিয়ানায় বিজেপি-র একাধিপত্য