নির্দলরা ভিড়ছে বিজেপির দিকে, হরিয়ানায় সরকার গঠন করতে আর কটা আসন দরকার পদ্ম শিবিরের?
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ৪০টি আসন পেয়েছে বিজেপি। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৬টি আসন কম। কংগ্রেস পেয়েছে ৩১টি আসন। দুষ্মন্ত চৌতালার জেজেপি পেয়েছে ১০টি আসন। বাকিরা ৯টি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সরকার গড়ার বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি।

ফল প্রকাশ হতেই নির্দল প্রার্থীদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে
৪০ আসন পাওয়া বিজেপি ম্যাজিক ফিগার থেকে ৬টি আসন দূরে। সরকার গঠন করতে ময়দানে নেমে গেছে দল। জানা গেছে ফল প্রকাশ হতেই নির্দল হিসাবে জয়ী দুই বিধায়ক, গোপাল কান্দা ও রণজিৎ সিংকে চার্টার্ড প্লেনে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর দিকে সোমবীর সিং নামে এক নির্দল বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে। এই ক্ষেত্রে সরকার গড়তে বিজেপির দরকার আর মাত্র তিনজন বিধায়ক। এই পরিস্থিতে জেজেপি কোন দিকে ঝুঁকবে, সেই দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। তবে নির্দলদের সমর্থনে সরকার গঠন সম্ভব হলে হয়ত জেজেপির সমর্থ চাইবে না বিজেপি। কারণ নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন খোলাখুলি ভাবেই বিজেপির সমালোচনা করতে দেখি গাছিল দুষ্মন্তকে।

বিজেপির দাবি সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তাদের
৯০ আসনের বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ায় সরকার গড়ার দাবি করতে চলেছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে সমর্থন লাগবে নির্দল প্রার্থীদের। বিজেপির দাবি রণজিত সিং ও গোপাল কান্দা ছাড়া ইতিমধ্যেই নাকি আরও অনেকজন জয়ী নির্দল প্রার্থী তাদেরকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করবেন দুষ্মন্ত চৌতালার।

কোনদিকে দুষ্মন্ত?
এদিকে হরিয়ানায় কিংমেকার হয়ে ওঠা জননায়ক জনতা পার্টির নেতা আজ দলের ১০ জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। গতকাল ঘোষণা করা হয় হরিয়ায়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তাতে দেখা যায় মূলত বিজেপি-কংগ্রেসের লড়াই হওয়ার কথা থাকলেও ভালো ফল করে দুই দলের সমীকরণ বদলে দিয়েছে দুষ্মনত চৌতালার দল।

কিংমেকার থেকে অপ্রাসঙ্গিকতার পথে জেজেপি?
এদিকে সূত্রের খবর, আইএনএলডি নেতা তথা জেজেপি নেতা দুষ্মন্তের কাকা অভয় চৌতালাও ঝুঁকেছেন বিজেপির দিকে। প্রসঙ্গত, কাকার সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই দল ভেঙে জেজেপি গঠন করেছিলেন দুষ্মন্ত। এবার অভয় ও অন্যান্য় নির্দলদের সমর্থনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবেন দুষ্মন্ত।