ইভিএমই নির্ধারণ করল গুজরাতের ভবিষ্যৎ! হারের পর উষ্মা রাহুলের ‘ট্রাম্পকার্ড’-এর
বিজেপির গুজরাত জয়কে কটাক্ষ হার্দিকের। ‘গুজরাতে একটি ‘ভুল’ ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। বিজেপি ইভিএমে কারচুপি করেই এই জয় হাসিল করেছে বলে অভিযোগ।
তিনিও জানেন 'যো জিতা ওহি সেকেন্দর।' তাই নিছক বাহানা নয়, গুজরাতের ভবিতব্য নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রাহুল গান্ধীর অন্যতম 'ট্রাম্পকার্ড' হার্দিক প্যাটেল। তিনি বিজেপির এই জয়কে কটাক্ষ করে বললেন, 'গুজরাতে একটি 'ভুল' ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। বিজেপি ইভিএমে কারচুপি করেই এই জয় হাসিল করেছে। নতুবা তাঁদের জয় পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না।' যদিও হার্দিকের এই অভিযোগ সমূলে উৎখাত করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার একে জ্যোতি।
[আরও পড়ুন:অঞ্চল ভেদে কেমন হল গুজরাত ভোটের ফল, কোথায় বাজিমাত বিজেপির ]
২৪ বছর বয়সী হার্দিক প্যাটেল পাতিদার আন্দলনকে হাতিয়ার করে গুজরাতের প্যাটেল সম্প্রদায়ের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁকেই গুজরাত মিশনে 'ট্রাম্পকার্ড' হিসেবে ব্যবহার করে কিস্তিমাত করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সফল প্রায় হয়ে গিয়েছিলেন রাহুল। শুধু একটুর জন্য তাসটা হাত থেকে বেরিয়ে গেল তাঁর। মোদীর বিজয়রথ থামাতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
মোদীর কাছে রাহুলের এই হার অবশ্য মানতে পারছেন না ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ-তুর্কি নেতা। তিনি এই ফলাফলকে মানুষের রায় বলে মানছেন না। তিনি মনে করেন, 'গুজরাতের ভাগ্য গুজরাতবাসী নির্ধারণ করেননি। নির্ধারণ করেছেন ভোটযন্ত্র। যার ফলেই তাঁদের হারতে হয়েছে।' তাঁর অভিযোগ, 'সুপরিকল্পিতভাবে আসন বেছে বেছে ভোটযন্ত্রে কারচুপি করা হয়েছে।'
তাঁর কথায়, 'এটিএম যদি হ্যাক করা যায়, তবে ইভিএম মেশিন করা যাবে না কেন? আমরা তো ক্যালকুলেটরে পরিবর্তন করতে পারি, মানুষের দেহেও পরিবর্তন করা যায়, তাহলে একটি ইভিএমেই পরিবর্তন করাও সম্ভব।' ফলে তিনিও এদিন ব্যালট পেপারে ভোটের পক্ষে জোর সওয়াল করেন।
হার্দিক প্যাটেল বলেন, 'সুরাট, রাজকোট, আহমেদাবাদের ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছিল।' তিনি ইভিএম কারচুপি করে ভোটে জেতার জন্য বিজেপিকে শুভেচ্ছাও জানান। এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, যে যেমন করেই জিতুক, সেই 'সিকন্দর' হয়। সেজন্য বিজেপিকে 'গুড লাক' জানান তিনি। হার্দিকের কথায়, 'বিশেষ করে সৌরাষ্ট্রে তাঁর মিছিলে যেভাবে মানুষ সাড়া দিয়েছে, এত মানুষ জমায়েত হয়েছে, তার পরে এই আসনগুলিতে হারের কোনও কারণই থাকতে পারে না। তা সত্ত্বেও কেন হার, তা বুঝতে আর বাকি থাকছে না কারও।'
[আরও পড়ুন:'মিথ্যাচার করে মন পাওয়া যাবে না মানুষের', গড় রক্ষা করে হুঙ্কার মোদীর]
তবে যে অভিযোগই হোক, ওসব কানে তুলতে চায় না বিজেপি। বিজেপি এখন গুজরাত ধরে রাখতে পেরেই খুশি। সেইসঙ্গে কংগ্রেসের হাত থেকে তারা কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে হিমাচল প্রদেশের শাসন ক্ষমতাও। আগামী দু-বছর যত ভোট রয়েছে, সেই ভোটের ফলাফল একপ্রকার নির্ধারণ করে দিয়েছে এই রাজ্য, এমনটাই অভিমত বিজেপি নেতৃত্বের।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারও হার্দিক প্যাটেলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, 'মেশিনে কারচুপি করার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা সমস্তরকম পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। ভিভিপ্যাট থেকে শুরু করে যা যা প্রযুক্তি রয়েছে, সবকিছুই ছিল। এখন এই অভিযোগ করার কোনও যুক্তি নেই।'