অল্পেশের কংগ্রেস ত্যাগ! ‘বন্ধু’র সিদ্ধান্তে একহাত নিয়ে যা বার্তা দিলেন হার্দিক
একজনের ইন, একজন আউট। লোকসভার আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক। আর এই ভোটের মুখেই কংগ্রেস ছাড়লেন অল্পেশ ঠাকুর।
একজনের ইন, একজন আউট। লোকসভার আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক। আর এই ভোটের মুখেই কংগ্রেস ছাড়লেন অল্পেশ ঠাকুর। এই দুজনই গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে রাহুল গান্ধীর লড়াইয়ে সোনাপতির ভূমিকা পালন করেছিলেন। হার্দিক যখন সরকারিভাবে কংগ্রেস যোগ দিলেন, তখনই আউট হয়ে গেলেন অল্পেশ। তাঁর কংগ্রেসত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন হার্দিক প্যাটেল।
সামলাতে পারেনি অল্পেশ
সম্প্রতি দল ছেড়েছেন অল্পেশ ঠাকুর। আরও দুই বিধায়ককে নিয়ে তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সে প্রসঙ্গেই হার্দিকের বলেন, দল ওঁর উপর ভরসা করে দায়িত্ব দিয়েছিল, কিন্তু সামলাতে পারেনি। তাই হয়তো দল ছেড়েছেন অল্পেশ। কংগ্রেসে এসে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব ভেবেছিলাম, তা হল না। লোকসভার আগে অল্পেশের দলত্যাগে কংগ্রেস যে ধাক্কা খেল, তা বলাই বাহুল্য।
|
নেপথ্যে চাপ ছিল
সম্প্রতি অল্পেশ-সহ তিন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়েন। ক্ষত্রীয় ঠাকুর সেনার নেতা ধাবালসিন ঠাকুর ও ভরতজি ঠাকুরও অল্পেশের সঙ্গী হন। অভিযোগ, অল্পেশ-সহ তিন বিধায়কের দলত্যাগের পিছনে ক্ষত্রিয় ঠাকুর সেনার চাপ ছিল। সেই চাপের কাছেই তাদের নতিস্বীকার করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই অল্পেশদের দলত্যাগ নিয়ে জল্পনা চলছিল।
মোদী-গড়ে মোক্ষম ধাক্কা রাহুলকে
অল্পেশ, জিগনেশ ও হার্দিক ত্রিমূর্তি গুজরাট ভোটের আগে রাহুলের তিন সেনাপতি হয়ে উঠেছিলেন। তাঁদের দিয়েই রাহুল চেয়েছিলেন মোদী-গড়ে মোক্ষম ধাক্কাটা দিতে। কিন্তু রাহুল একটুর জন্য ব্যর্থ হন বিধানসভায়। এবার তিনজনকেই কংগ্রেসে এনে একত্রিত করেছিলেন। কিন্তু লোকসভার লড়াইয়ের আগেই অল্পেশ রণভঙ্গ দিলেন।
অল্পেশ ও জিগনেশ দুজন বিধায়ক হয়েছিলেন
অল্পেশ ও জিগনেশ দুজন বিধায়ক হয়েছিলেন। হার্দিক বিধানসভা ভোটে সক্রিয় অংশ নিয়েও তখন ভোটে লড়েননি নিজে। এবার লোকসভায় তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। এই সময়েই হার্দিকের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তিনি সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন:প্রথম দফা ভোটের পর ইভিএম ছেড়ে ব্যালটে ফেরার দাবি কংগ্রেস সহ বিরোধীদের]
হার্দিকের আক্ষেপ
এরপরই হার্দিক বিজেপিকে একহাত নেন। তিনি বলেন, আমি যাতে ভোটে লড়তে না পারি যাবতীয় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। একইসঙ্গে তিনি হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান। বলেন, এবার আমাকে সংসদে পাঠাতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরিকল্পনা করে তা আটকানো হল বিজেপির পক্ষ থেকে। আমার বয়স মাত্র ২৫। ভবিষ্যতে ভোটে লড়ব।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে 'সংকট'! মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে চাইলেন মন্ত্রী]
[আরও পড়ুন:লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত লেটেস্ট ছবি দেখতে হলে ক্লিক করুন ]