‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ সকলকে দিতে ২০ টাকা, কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবসের আগেই জোর বিতর্ক
‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ সকলকে দিতে ২০ টাকা, কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবসের আগেই জোর বিতর্ক
চলতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী 'হর ঘর তিরাঙ্গা' বলে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য কাশ্মীরের ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের জম্মু ও কাশ্মীরের আধিকারিকরা ২০ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই টাকা না দিলে বিপদে পড়তে হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নির্দেশ ভাইরাল হতেই দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়।
কী ছিল নির্দেশিকায়
জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার মুখ্য শিক্ষা আধিকারিক মহম্মদ শরিফ একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেই নির্দেশিকায় জেলার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রদের স্বাধীনতা দিবসে 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচির জন্য ২০ টাকা করে দিতে বলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নির্দেশিকা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অনন্তনাগ জেলার মুখ্যসচিব এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেন। এছাড়াও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে অনন্তনাগের মিউনিসিপ্যালিটি কমিটির বিজেবেহারা শহরের আধিকিরকদের সমস্ত দোকানদারদের ২০টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায়। আর টাকা না দিলে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে বলেও তাঁরা হমকি দেন।
বিতর্কের জেরে বাতিল নির্দেশিকা
অনন্তনাগের ডেপুটি কমিশনার পীযুষকান্তি সিংলা টুইট করে বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে উৎসাহিত করতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য কাউকে জোর করা হবে না। তিনি বলেন, 'আমার অনুমতি ছাড়াই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যাঁরা এই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন, ইতিমধ্যে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার পিকে পোল স্পষ্ট করে বলেন, দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে উৎসাহিত করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যে কোনও ব্যক্তি স্বেচ্ছায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য কাউকে জোর করা হবে না।
তীব্র প্রতিক্রিয়া জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসক যেভাবে ছাত্র, শিক্ষক, দোকানদার ও সাধারণ কর্মচারীদের পতাকা উত্তোদলের জন্য জোর করছে ও টাকা আদায় করছে, তা নিন্দনীয়। মানুষের মনে অসন্তোষ বাড়বে। তাছাড়া দেশপ্রেম জোর করে আসে না। স্বাভাবিকভাবে আসে। নরেন্দ্র মোদী সরকার সাধারণ মানুষের ওপর দেশ প্রেম চাপিয়ে দিতে চাইছেন। রাজ্যের নিম্নস্তরের কর্মীদের এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের নির্দেশ তাঁরা পালন করেছিলেন মাত্র। এখন তাঁদের বরখাস্ত করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ জানান।।
২০২১ সাল থেকে কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
১৯৯০ সাল থেকে কাশ্মীর অশান্ত হওয়ার পর থেকে সেখানকার স্থানীয় নাগরিকরা স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস মতো বিশেষ দিনগুলো উদযাপন থেকে নিজেদের বিরত রাখতেন।কিন্তু গত বছর স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় স্বাধীনতা দিবসের দিন। সেই দিন স্কুলের পড়ুয়ারা উপস্থিত না থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষাকারা উপস্থিত ছিলেন।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর কোন কোন স্থান দেখা যায়, জানেন! নাসা দিল সেই বিস্তারিত তথ্য