নির্ভয়া-কাণ্ডে চার জনের ফাঁসি কবে! ইন্দিরার খুনিদের ফাঁসি দেওয়া জল্লাদের নাতি প্রস্তুত
নির্ভয়া-ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষীসাব্যস্তদের ফাঁসি কার্যকর করতে প্রস্তুত মীরাট কারাগারের জল্লাদ। শুক্রবার মীরাট কারাগারে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
নির্ভয়া-ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষীসাব্যস্তদের ফাঁসি কার্যকর করতে প্রস্তুত মীরাট কারাগারের জল্লাদ। শুক্রবার মীরাট কারাগারে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। পবন জল্লাদ বলেন, তাঁর দাদু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-কাণ্ডে জড়িত দু'জনের ফাঁসি কার্যকর করেছিলেন। জেল প্রশাসন অনুমতি দিলে তিনি প্রস্তুত নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসি কার্যকর করতে প্রস্তুত।
ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষীসাব্যস্ত চারজনকে ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কারাগার) আনন্দ কুমার নিশ্চিত করেছেন, দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, তিহার জেল থেকে উত্তরপ্রদেশকে দু'জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখার আবেদন করা হয়েছে। মারাট থেকেও অপর একজনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
৫৫ বছর বয়সী পবন জল্লাদ বলেন, ফাঁসি হওয়া দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তি পরিচয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তিনি এখনও মীরাট কারাগার প্রশাসনের কোনও নির্দেশও পাননি। নির্দেশ পেলে চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে তিনি তিহার জেলে যেতে প্রস্তুত।
পবন জানান, তার বাবা এবং দাদুও ফাঁসু়ড়ে ছিলেন। আমার দাদা কল্লু জল্লাদ এবং পিতা বাব্বু জল্লাদ এই কাজটি করেছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার দাদুকে পাঁচটি ফাঁসিতে সহায়তা করেছি। কোনও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, "আমাকে দড়িটির শক্তি এবং এটির জন্য ব্যবহৃত লিভার ও প্ল্যাটফর্ম পরীক্ষা করতে হবে।"
উল্লেখ্য, নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া চারজন- পবন গুপ্ত, অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ সিং এবং বিনয় শর্মাকে দু-বছর আগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ২২ বছর বয়সী প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে চলন্ত বাসে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটে। মামলায় দণ্ডিত ছয় জনের মধ্যে একজন নাবালিকা ছিলেন, যাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছিল। আর একজন রাম সিংহ তিহার জেলখানায় আত্মহত্যা করেছিলেন।