বন্যায় ডুবেছে অর্ধেক স্কুলবাস, গায়ে কাঁটা দেবে শিশু পড়ুয়াদের উদ্ধারের হাড় হিম করা ভিডিও
বন্যায় ডুবেছে অর্ধেক স্কুলবাস, গায়ে কাঁটা দেবে শিশু পড়ুয়াদের উদ্ধারের হাড় হিম করা ভিডিও
বাঁধভাঙা বৃষ্টিতে তেলেঙ্গানার একাংশ বন্যাপ্লাবিত প্রায়। সেই বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে শিশু পড়ুয়া ভর্তি অর্ধেক স্কুল-বাস। সেখানে থেকে পড়ুয়াদের কোলে করে যেভাবে এক গলা জল পেরিয়ে উদ্ধার করে আনলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, তা শুধু তারিযোগ্যই নয়, তা অসীম সাহসীকতার পরিচয়ও। উদ্ধারের সেই ভিডিও দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে সবারই।
পড়ুয়া বোঝাই গাড়ি অর্ধেক ডুবে, ভয়াবহ দৃ্শ্য
অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কোথাও কোথায় এক গলারও বেশি জল জমে গিয়েছে। সেই জমা জলেই একটি স্কুল বাস অর্ধেকেরও বেশি নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। হায়দরাবাদের মহাবুব নগরে জলে ডোবা রাস্তায় অর্ধেকেরএ বেশি ডুবে গিয়েছে বাসটি। তার মধ্যে আটকে পড়ে বহু পড়ুয়া। এই ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসতেই স্থানীয়রা ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকার্যে।
গায়ে কাঁটা দেওয়া দৃশ্য, একটু জল বাড়লেই সব শেষ
সম্প্রতি টুপটারে শেয়ার হয়েছে সেই গায়ে কাঁটা দেওয়া দৃশ্যের ভিডিও। বাসের মধ্যে গলা জলে আটকে রয়েছে শিশুরা। কোনওরকমে সিটের উপর দাঁড়িয়ে তাঁরা মাথার অংশটুকু জাগিয়ে রেখেছে। তাদের গলা পর্যন্ত জলে ডুবে রয়েছে। আর একটু জল বাড়লেই নিমেষে সব শেষ। অতগুলি তাজা প্রাণ নিঃশেষ হয়ে যাবে মুহূর্তে। এই অবস্থায় শিশু পড়ুয়াদের ত্রাতা হয়ে হাজির হলেন স্থানীয়রা।
স্কুলবাসে আটকে জনা ৩০ পড়ুয়া, মহাবিপদ
গত কয়েকদিন ধরেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি চলছে। মহাবুবনগরের কোডুর অঞ্চলের কাছে রেল আন্ডারব্রিজের তলার রাস্তা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। সেখানেই এক মানুষ জলে নেমে যায় পড়ুয়াভর্তি বাসটি। স্কুলবাসটি সেখানে আটকে পড়ে। আর সেখান থেকে উঁচু রাস্তায় উঠে আসতে পারেনি। বাসের মধ্যে তখন জনা ৩০ পড়ুয়া।
একে একে কোলে করে উদ্ধার শিশুদের, ভিডিও
ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে বাসটির ভিতর জলমগ্ন অবস্থা। জল ঢুকে পড়ুয়ারা প্রায় নিমজ্জিত। বাসের ভিতরে তারা ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে। চিৎকারও চেঁচামিচিও করছে। এই অবস্থায় তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীযরা ছুটে আসেন সবাই নেমে পড়েন জলে। এক এক করে কোলে করে তাঁরা নামিয়ে আনেন শিশুদের। নিরাপদ্ সবাইকে উদ্ধার করে আনতে সক্ষম হন তাঁরা।
|
নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল শিশুরা, সাহসী পদক্ষেপ
এই ঘটনায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন অভিভাবক-অভিভাবিকারা, শিশুদের বাবা-মা, পরিজনরা। স্থানীয়রা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের উদ্ধার করে এসেছে কোনও প্রশংসাই তাঁদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাঁদের জন্যই নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল শিশুরা। শিশুদের উদ্ধার করা পর ট্রাক্টরের সাহায্যে বাসটিকে জমা জল থেকে টেনে উঁচু রাস্তায় আনা হয়।