ভায়গ্রা, যৌন তেল, পর্নোসামগ্রী, মাদক বহন না করতে নির্দেশিকা হজ যাত্রীদের
মুম্বই, ২৩ আগস্ট : মক্কার উদ্দেশ্যে আজ রওনা হবেন হজযাত্রীরা। কোন কোন জিনিস তারা নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না সে সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ভায়গ্রা, যৌন সংক্রান্ত তেল বা ক্রিম বা কোনও পর্নো বিষয়ক সামগ্রী সঙ্গে রাখা যাবে না।
কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ভারতীয় হজ কমিটি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ভায়গ্রা, যৌন তেল, পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কোনওরকমের সামগ্রী, বা নেশার দ্রব্য বহন করা থেকে পুণ্যার্থীরা যেন বিরত থাকেন।
হজ কমিটির সিইও-র কথায়, প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা ও গাউডলাইন জানানোর পরেও ২০১৩-২০১৪ এমন বেশ কিছু ঘটনা দেখা গিয়েছে, যেখানে পুণ্যার্থীরা যৌন উদ্দীপক ভায়েগ্রা ট্য়াবলেট , যৌন তেল, ক্রিম ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে যেতে গিয়ে ধরা পড়ে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং খুব গম্ভীরভাবে এই সমস্যাকে সামলাতে হবে।
হজ কমিটির তরফে এও জানানো হয়েছে, এই নির্দেশিকা সত্ত্বেও হজ চলাকালীন কোনও বেআইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়।। অতীতে দেখা গিয়েছে, অনেক হজযাত্রী ভায়গ্রা, যৌন তেল ও ক্রিম, যেগুলি সৌদি আরবে নিষিদ্ধ তা চোরা চালান করার চেষ্টা চালিয়েছে। এই নির্দেশিকা আবেদন ফর্মেও দেওয়া হয়েছে।
যদিও সরকারের এই নির্দেশিকা খুব একটা ভাল চোখে নেয়নি মুসলিম ধর্মগুরুদের একাংশ। ধর্মগুরুদের একাংশের কথায়, মানুষ হজে যায় যৌন সুখ পাওয়ার জন্য নয়, বরং আল্লাহর নির্দেশে কিছু রীতি নীতি মানার জন্য। হজের সময় পূণ্যার্থীরা যৌনক্রিয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে অধিকাংশ হজ যাত্রীই যেন যৌনক্রিয়া সম্পর্ক একাধিক বস্তু সঙ্গে নিয়ে যায়।
অনেকে আবার এও বলছেন, কিছু আধিকারিক আসলে এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে মুসলিমরা কামবাইগ্রস্ত ব্যক্তি, যারা যৌনক্রিয়া থেকে বিরত থেকে হজ করতে পারে না।
যৌনসামগ্রী ছাড়া পোস্ত, ইস্টোন, খামেরা, গুটখা, খৈনি, গুল, পিপার মিন্ট ও অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই ধরণের সামগ্রী হজের সময়ে বহন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর জন্য যাবজ্জীবন এমনকী মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।