'কাসাবও লাইব্রেরিতে ঢুকলে নিরীহ বলে দাবি করা হত', জামিয়াকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন কপিল
দিল্লিতে ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ক্যাম্পাসে সিএএর প্রতিবাদ চলাকালীন হিংসার ঘটনার সঙ্গে ২০০৮ সালে মুম্বইতে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার তুলনা করেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জামিয়া ক্যাম্পাসের ভিতর ঘটনার দিল লাইব্রেরিতে ঢুকেও পড়ুয়াদের মারধর করা হয়। আর তার পর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র।
ফের বিতর্কে কপিল
২৬/১১ র দিন পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাসাব অস্ত্র হাতে মুম্বইয়ের তাজে রক্তলীলার তাণ্ডব চালায়। আর সেই দাগী জঙ্গির প্রসঙ্গ তুলে , বিজেপি নেতার দাবি, 'যদি সেই দিন কসাব পালিয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ত, তাহলে ওকেও নীরিহ বলা হত.. '। আর এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
জামিয়ার ভাইরাল ভিডিও
একটি সাম্প্রতিক ভিডিওতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া চত্বরে ১৫ ডিসেম্বরের দিন হিংসার ঘটনা উঠে আসে। সেখানে লাইব্রেরির মধ্যে পুলিশ ঢুকে অত্যাচার চালিয়েছে বলে দেখানো হয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা)। আর সেই দৃশ্য ঘিরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, ক্যাম্পাসে ঢুকে নীরিহ পড়ুয়াদের কেন মারধর করেছে পুলিশ?
ভিডিও ঘিরে তোলপাড়
দিল্লি নির্বাচন শেষ হতেই জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে প্রকাশিত এই ভিডিও ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা দেশে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, এই ঘটনার পরও যদি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সরকারের 'উদ্দেশ্য' বুঝতে কিছু বাকি থাকবে না।
পাল্টা পুলিশের তরফে ভিডিও
জামিয়ার ভিডিওর পর , দিল্লি পুলিশ আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায়, জামিয়া ক্যাম্পাসে কয়েকজন হাতে পাথর নিয়ে ঘুরছে। দিল্লি পুলিশের দাবি, যাদের হাতে পাথর ছিল , তারা দাঙ্গাবাজ।