বিপুল বজ্রপাত সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া, উড়িয়ে দিল মণ্ডপ, প্রাণ কাড়ল তিন জনের
Array
ভয়ঙ্কর বৃষ্টি তার সঙ্গে বজ্রপাত। এর জেরে মারা গেলেন তিন জন। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশায়। বৃষ্টি যে এবারে পুজোতে বাধ সাধতে পারে তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বাদ দিয়ে বাংলায় তেমন ব্যাপক কোনও বৃষ্টির খবর মেলেনি। বৃষ্টি বাদল ওড়িশায় প্রাণ কাড়ল তিন জনের। সঙ্গে ভেঙে দিয়েছে তিন তিনটে পুজো মণ্ডপ।
বিপুল ঝড়ো হাওয়া
জানা গিয়েছে বিপুল ঝড়ো হাওয়া মণ্ডপ মাটি থেকে উপড়ে দেয়। তিনটি বড় মণ্ডপে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তিনটি আলাদা স্থানে বজ্রপাত, তিন জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
বিপুল বৃষ্টি
জানা গিয়েছে কার্যত বিপুল বৃষ্টিতে নাজেহাল পরশি রাজ্য। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া উপকূলীয় বহু জেলাকে ভাসিয়ে দিয়েছে বললেও ভুল হয় না। বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি এই গাছ পড়তেই বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে।
কী বলছে হাওয়া অফিস?
স্থানীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, "সারা রাজ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উপকূলের কাছের জেলাগুলিতে। ভদ্রকে গত ১২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কবলে পড়েছে এই জেলা।
ভদ্রকের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হয়েছে জয়পুর, পুরি, খুদ্রা, চাঁদবালি, কটক, বালিপাড়াতে। এই সমস্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ৪৬ মিলিমিটার, ৪৩.৩ মিলিমিটার, ৩২ মিলিমিটার, ২৯.২ মিলিমিটার, ২৮.৮ মিলিমিটার, ২৬ মিলিমিটার। ভুবনেশ্বরে বৃষ্টি হয়েছে ১৬.৪ মিলিমিটার। বৃষ্টির জল ঢুকে পড়েছিল হাসপাতালের মধ্যে। ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ে রোগী এবং চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। আইএমডি শেষ বুলেটিন জানাচ্ছে যে, যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছিল পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগ এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তা এখন অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল এবং পশ্চিম মধ্যে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বাংলার আবহাওয়া
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৫ অক্টোবর দশমীর সকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেও দক্ষিণবঙ্দের জেলাগুলির কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের মতোই দক্ষিণবঙ্গেও আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।