গুরুগ্রাম নমাজ বিতর্ক, হরিয়ানা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ প্রাক্তন সাংসদ
গুরুগ্রাম নমাজ বিতর্ক
গুরুগ্রামে নমাজ পড়া নিয়ে বেশকিছুদিন ধরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই বিতর্ককে উস্কে দিয়ে প্রাক্তন রাজ্য সভার সাংসদ মহম্মদ আদীব সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। গুরুগ্রাম নমাজ বিতর্ক নিয়ে হরিয়ানা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবমাননার আবেদন করেন প্রাক্তন সাংসদ। আদীবের অভিযোগ, উন্মুক্ত মাঠে নমাজ পড়া নিয়ে মুসলিমদের যারা বাধা দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে হরিয়ানা পুলিশ ও প্রশাসন।
আদীব
এই
মামলায়
হরিয়ানার
পুলিশের
ডিজিপি
পি
কে
আগরওয়াল
এবং
মুখ্য
সচিব
সঞ্জীব
কৌশলের
বিরুদ্ধে
অবমাননার
ব্যবস্থা
চেয়ে
আবেদন
করেন।
বহুজন
সমাজ
পার্টির
প্রাক্তন
সদস্য
আদীব
অভিযোগ
করেন
যে
নমাজ
বিতর্ক
নিয়ে
যারা
ঘৃণামূলক
বক্তব্য
করেছিল
তাদের
বিরুদ্ধে
পুলিশ–প্রশাসন
কোনও
পদক্ষেপ
গ্রহণ
করেনি।
তাঁর
আরও
অভিযোগ
যে
প্রশাসন
গুরুগ্রামে
বারবার
নমাজে
বাধা
দিয়ে
সাম্প্রদায়িক
উত্তেজনা
তৈরি
করা
সনাক্তযোগ্য
গুন্ডাদের
থামাতে
ব্যর্থ
হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আবাসন সংলগ্ন খোলা জায়গায় নমাজ পড়া নিয়ে বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি তোলেন। যেখানে যাঁরা নমাজ পড়ছিলেন তাঁরা দাবি করেন যে এটি সাপ্তাহিক প্রার্থনার জন্য মনোনীত জায়গা অন্যদিকে যাঁরা এতে আপত্তি করেন তাঁরা এই প্রথা বন্ধ করার জন্য জোর দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে আদীব ব্যক্ত করেন যে জায়গা ও সুবিধার অভাবে খোলা জায়গায় শুক্রবারের নমাজ পড়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আবেদনে এও বলা হয়েছে যে গত ৩ ডিসেম্বর শুক্রবারের নমাজে আপত্তি জানানো হিন্দু সংগঠন যে অভদ্র আচরণ করেছে তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এতে এও বলা হয়েছে যে ঘটনাগুলি আরও বেড়ে গিয়েছে এবং বৃহত্তর গোষ্ঠীগুলি পরে 'সাম্প্রদায়িক বিভক্তের স্লোগান’ দিতে দিতে অন্য দিকে চলে যায়। আবেদনে বলা হয়, নিরন্তর নিষ্ক্রিয়তা, রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতা এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের ব্যর্থতা এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে বা সঙ্কটটি ভয়াবহতায় রূপান্তরিত হওয়ার আগেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার গুরুগ্রামে উন্মুক্ত স্থানে নমাজ পড়া নিয়ে কয়েক মাস ধরেই বিতর্ক, বাগবিতন্ডা চলছে। এর আগে বেশ কয়েকটি জায়গায় নমাজ বাতিলও করেছিল গুরুগ্রাম প্রশাসন। যদিও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে গত শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর সাফ জানিয়ে দেন যে, খোলা জায়গায় নমাজ পড়লে তা বরদাস্ত করা হবে না। গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৭–এ খোলা জায়গায় নমাজ পড়া নিয়ে বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন আপত্তি করার পরে এই মন্তব্য করেন খট্টর।