রোজ রাতে ডেরায় মেয়ে পাঠাতে মহিলাদেরই বিশেষ দল তৈরি করেছিল ধর্ষক রাম রহিম
নিজের যৌন ইচ্ছাপূরণ করতে মহিলাদের একটি দল গড়েছিল রাম রহিম যাদের কাজ ছিল অপর মহিলাদের ভুলিয়ে ফুঁসলিয়ে রাম রহিমের যৌন লালসা পূরণের জন্য ঠেলে দেওয়া।
ধর্ষক গুরমিত রাম রহিম শুধু যে নিজের সুরক্ষায় ব্যক্তিগত বাহিনী তৈরি করেছিল তাই নয়, পাশাপাশি নিজের যৌন ইচ্ছাপূরণ করতে মহিলাদের একটি দল গড়েছিল যাদের কাজ ছিল অপর মহিলাদের ভুলিয়ে ফুঁসলিয়ে রাম রহিমের যৌন লালসা পূরণের জন্য ঠেলে দেওয়া।
এই প্রমিলাগোষ্ঠী নিজেরা একসময়ে রাম রহিমের হাতে যৌন লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ভুলে গিয়ে হোক অথবা ভয়ে, রাম রহিমের কথা শুনে নতুন নতুন সাধ্বীদের ধরে রাজি করিয়ে প্রতি রাতে ডেরার গুহায় পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করত।
সূত্রের খবর, রাম রহিম শুধু নতুন মহিলাদের ধরেই যৌন আকাঙ্খা পূরণ করত তাই নয়, পাশাপাশি কিছু মহিলা ছিল যারা রাম রহিমের নিত্য শয্যাসঙ্গিনী ছিল। তারাই ক্রমে একেবারে কাছের লোক হয়ে ওঠে ও মেয়েদের ধরে আনার কাজে লেগে পড়ে।
এছাড়া আরও জানা গিয়েছে যে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও আমলারা নিয়মিত ডেরায় যাতায়াত করতেন। তাদের আপ্যায়ন করা হতো মদ, মহিলা ও টাকা দিয়ে। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে মহিলারা ডেরার গুম্ফায় নির্যাতিতা হয়ে আসছিলেন।
জানা গিয়েছে, কমবয়সী মহিলাদের ডেকে নিয়ে তাদের উসকানো হতো। বলা হতো, বাবা তাদের শিষ্যা বানাবেন। রাতে আশীর্বাদ নিতে বাবার ঘরে একে একে ডাক পড়বে। এভাবেই প্রতি রাতে একজন করে মহিলাকে গুম্ফায় পাঠানো হত। এবং তারা ধর্ষিতা হয়ে ফিরে আসতেন।
ডেরা সাচা সৌদায় ৫০ নম্বর ঘরে 'মন সুধার কামরা' ছিল। সেখানে যৌন অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলতে চাওয়া মহিলাদের ও গুম্ফায় ঢুকতে না চাওয়া মহিলা-যুবতীদের নিয়ে গিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হতো।