গুরগাঁওয়ে নমাজ পড়ার জায়গাকে কেন্দ্র করে ফের বিক্ষোভ, আটক বেশ কয়েকজন
গুরগাঁওয়ের রাস্তার মধ্যে নমাজ পড়ার ঘটনা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে বাদানুবাদ চলছে তা শুক্রবার এক অভিনব মোড় নিল। ডানপন্থী সংগঠন যারা এই নমাজ পড়ার বিরোধিতা করেছিলেন তারা সেক্টর ৩৭ এর সেই এলাকায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেন। তারপরই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ ৬-৭ জনকে আটক করে। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন। তার মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। সেই ব্যক্তি এর আগেও সেক্টর ১২-তে এমন ধরনের বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখানে পাবলিক প্লেসে নমাজ পড়ার বিরোধিতা করেছিলেন এই ব্যক্তি। তাকে পরে সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির কর্মকর্তারা গোবর্ধন পূজা মঞ্চে সম্মানিত করেন।
যেখানে নমাজ পড়া হচ্ছিল সেই জায়গায় ট্রাক দাড় করিয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে এক অভিনব পদ্ধতি। এই বিক্ষোভকারীরা সেক্টর ৩৭ এ মুম্বই হামলার শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে যজ্ঞ করেছিলেন। নমাজ পড়ার জায়গায় পূজা-অর্চনা করা থেকে শুরু করে ক্রিকেট খেলা, এমনকী গোবর ছড়ানোর অভিযোগও ছিল।
তবে শুক্রবার প্রায় ৭০ জন বিক্ষোভকারী আশেপাশের গ্রাম থেকে এসে ওই জায়গায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেন। পুলিশ তাদের কথা বললেও সহজে তারা সেখান থেকে সরেননি। এর মধ্যে সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে এভাবে পাবলিক প্লেসে নমাজ পড়তে তারা দেবে না। একমাস প্রশাসনকে সময় দেওয়া হয়েছিল। ফলে আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর এভাবে নামাজ পড়া যাবে না বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলছেন, এই জায়গায় আমরা বহুদিন ধরেই গাড়ি পার্কিং করি। এই জায়গাটা নামাজ পড়ার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকী আমরা এখানে আসতে পারব না, সেটাও কেউ নিষেধ করেনি। ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টা সকালে বিক্ষোভ চলে। এবং পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অন্যদিকে মুসলমান সংগঠনের তরফে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই জায়গাটি সরকারি। এখানে আমাদের নমাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদি কারও অসুবিধে হয় তাহলে তারা প্রশাসনের কাছে তাদের অভিযোগ জানাক। যদি প্রশাসন আমাদের নিষেধ করে তাহলে আমরা এই জায়গায় নমাজ পড়া বন্ধ করব।