কংগ্রেস শেষের পথে, ফাইভ স্টার হোটেল কালচারে জন বিচ্ছিন্ন নেতারা, বিস্ফোরক মন্তব্য গুলাম নবিদের
বিহারে মহাজোটের পরাজয়ের কারণ একমাত্র কংগ্রেস। অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে দল। তাই নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে বিবাদ। দলের বর্ষিয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ থেকে কপিল সিবল। সকলেই এই নিয়ে প্রকাশ্যে দলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। গুলাম নবি আজাদ বলেছেন কংগ্রেসে সাংগঠনিক পরিকাঠামো বলে আর কিছু নেই। ফাইভ স্টার হোটেল কালচার জননেতাদের জনসংযোগ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। জনতার কাছে এখন আর কংগ্রেসের নেতারা পৌঁছতে পারছেন না সেকারণেই বিহারের ভোটে এই শোচনিয় পরিস্থিতি হয়েছে কংগ্রেসের।

গুলাম নবি আজাদের আক্রমণ
মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারছে না কংগ্রেস। তার অন্যতম কারণ জনসংযোগ নেই দলের নেতাদের। এমনকী নিজের দলের নীচু তলার লোকেদের সঙ্গেই তারা জনসংযোগ করে উঠতে পারছে না। পাঁচ তারা হোটেল কালচারই কাল হয়েছে কংগ্রেস নেতাদের। প্রকাশ্যেই এই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ েবং কপিল সিবল। যাঁরা গান্ধী পরিবারের হাত থেকে দলের রাশ সরাতে চাইছেন মূলত।

বিহারের ভোটে শোচনীয় পরাজয়
বিহারের বিধানসভা ভোটে ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তার সিংহভাগ আসনেই হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে। যার জেরে বাম আরজেডি ভাল ফল করলেও সরকার গড়তে পারেনি। এনজিএ জোট কানায় কানায় ভোট পেয়েও সরকার গড়ে ফেলেছে। মহাজোটের এই ব্যর্থতার জন্য একমাত্র কংগ্রেসই দায়ী বলে অভিযোগ করেছে আরজেডি। বিহার ভোটের দিন রাহুল গান্ধী সিমলায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাড়িতে পিকনিকে মত্ত ছিলেন বলে জানা হিয়েছে।

ফাইভ স্টার কালচারই কাল
বিহারে কংগ্রেসের এই শোচনীয় পরাজয়ের জন্য দলের ফাইভ স্টার সংস্কৃতিকেই দায়ী করেছেন বর্ষিয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের টিকিট পেলেই নেতারা আগে ফাইভ স্টার হোেটল বুক করে ফেলেন। প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে চান না। যার জেরেই এই অবস্থা। তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ তৈরি হয় না ভোটারদের। যতদিন না এই ফাইভ স্টার হোটেল কালচার বন্ধ হচ্ছে ততদিন ভোটে জিততে পারবে না দল। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেথেন গুলাম নবি আজাদ।

নির্বাচনের মাধ্যমে হোক সভাপতি নির্বাচন
ফুরিেয় আসছে কংগ্রেস সভানেত্রী পদে সোনিয়া গান্ধীর সময়। সভাপতি পদে কে বসবেন এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দল। একদল গান্ধী পরিবারের হাতেই দলের রাশ রাখতে চাইছে। আরেক দল গান্ধীদের বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাতন চাইছে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে গুলাম নবি আজাদ ও কপিল সিবলের বক্তব্য। এই দুই নেতাই মনোনয়ন নয় নির্বাতনের মাধ্যমে দলের সভাপতি নির্বাচন করতে চাইছেন।

গোপাষ্টমী উপলক্ষে বড় পদক্ষেপ অসমে! ডিব্রুগড়ে উদ্বোধন হল উত্তর-পূর্বে প্রথম গো-হাসপাতালের