লোকসভা ভোটে ৩০০ আসনও পাবে না কংগ্রেস, এবার বেসুরো দলের প্রবীণ নেতা
লোকসভা ভোটে ৩০০ আসনও পাবে না কংগ্রেস, এবার বেসুরো দলের প্রবীণ নেতা
কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হতে শুরু করেছে। এবার প্রকাশ্যেই দলকে নিয়ে মুখ খুললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তিনি পুঞ্চের একটা সভায় প্রকাশ্যেই বলেছেন, ২০২৪-র সাধারণ নির্বাচনে ৩০০ আসন পাবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। গুলাম নবি আজাদের মত কংগ্রেসের এক জন প্রবীন নেতার এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।
বেসুরো গুলাম নবি আজাদ
শতাব্দী প্রাচীন দলে রাজনৈতিক জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন তিনি। লোকসভা এবং রাজ্য সভার সঙ্গে যাঁর আত্মিক যোগ রয়েছে। সেই জন্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের গতকাল প্রকাশ্যেই নিজের দলের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। গতকাল কাশ্মীরের পুঞ্চে কংগ্রেসে সভাতেই প্রকাশ্যে তিনি বলেছেন আসন্ন লোকসভা ভোটে। অর্থাৎ ২০২৪-র লোকসভা ভোটে ৩০০টি আসনও পাবে কিনা সন্দেহ। একাধিক জায়গায় কংগ্রেসের নেতাদের ক্ষোভ ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। গুলাম নবি আজাদের এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। নতুন করে প্রবীন নেতাকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিদ্রোহীদের তালিকা বাড়ছে
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কংগ্রেসের অস্তিত্ব সংকট তৈরি হয়ে গিয়েছে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের বিপুল পরাজয়। তারপর একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসের কঠিন পরিস্থিতি প্রকট হতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নেতৃত্ব নিয়ে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন সচিন পাইলটও। রাজস্থানে সরকার টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোনও মতে সচিন পাইলটকে রাজি করিয়ে রাজস্থানের বিধানসভায় ফিরিেয়ছিলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা। সেই সংকট যাতে গভীর না হয় তাই রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের ২ বছর আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটানো হয় তাতে সচিন পাইলটের অনুগামীর সংখ্যা বেশি ছিল।
পাঞ্জাবে সংকট
২০২৩ সালেই পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোট। তার আগে প্রবল দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পাঞ্জাবে। অমরিন্দরের মতো প্রবীন নেতা বিদ্রেহী হয়ে দল ছেড়ে নিজের পার্টি গড়েছেন। ভোটের কয়েক মাস আগে বাধ্য হয়েই এক প্রকার নতুন করে মন্ত্রিসভা সাজাতে হয়েছে কংগ্রেসকে। সিধুতে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চান্নিকে। এদিকে আবার চান্নির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে সিধু। তিনি বারবার পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন। ভোটের আগে পাঞ্জাবের কংগ্রেসে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বন্দ্বে জেরবার কংগ্রেস।
নেতৃত্ব সংকট
সোনিয়া গান্ধীর সয়সীমা শেষ হয়ে আসছে। তারপরে আবার কে আসবেন নেতৃত্ব দিতে এই নিয়ে প্রবল দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে কংগ্রেসে। ২০১৮ সালে লোকসভা ভোটের পরে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পরে দলের সভাপতি পদের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে বারবার রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রবীন নেতারা। এদিকে আবার সভাপতি পদে একচেটিয়া গান্ধী পরিবারের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অন্দরের অনেক নেতা। সেই বিদ্রোহীদের তালিকায় রয়েছে কপিল সিবলও। তিনি পারিবারিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তারপরেই আবার রাহুল গান্ধীকে সভাপতি পদে আনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।