এই গুজরাতি মুসলিমের কাছে চির কৃতজ্ঞ ছিলেন নেতাজি ,স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশপ্রেমের কাহিনি
দেশ তখন স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ে চরম এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে। সেই সময়ে গান্ধীজী অহিংসার রাস্তা ধরে স্বাধীনতা অর্জনের ডাক দিয়েছেন ।
দেশ তখন স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ে চরম এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে। সেই সময়ে গান্ধীজী অহিংসার রাস্তা ধরে স্বাধীনতা অর্জনের ডাক দিয়েছেন । গুজরাতের বাসিন্দা গান্ধীজিকে অহিংসার পথ ধরে সমর্থন করেত এগিয়ে আসেন একাদিক গুজরাতি। অনেকেই গান্ধীজির এই আন্দোলনে অর্থন অনুদানে সাহায্যএর হাত বাড়িয়ে দেন। আর অন্যদিকে হিংসার রাস্তা ধরে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার ডাক দেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
নেতাজির এই ডাকে সমর্থন আসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তাঁর বহু গুণমুগ্ধই সেই সময়ে নেতাজীর সমর্থনে এগিয়ে আসেন। সুভাষ চন্দ্র সেই সময় গড়ছিলেন ইন্ডিয়ান আর্মি। এমন এক পরিস্থিতিতে তাঁর পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে দাঁড়ান গুজরাতের মেমন আব্দুল হাবিব ইউসুফ মারফানি। গোটা গুজরাত যখন গান্ধীজির পথে এগিয়ে চলেছে স্বাধীনতা অর্জনের রাস্তায়,তখন সৌরাষ্ট্রর এই মুসলিম ব্যবসায়ী আসেন নেতাজীর সমর্থনে। তৎকালীন পরিস্থিতিতে নেতাজির লড়াইয়ে অনুদান দেন ১ কোটি টাক।
সেই সময় ১ কোটি টাকা নিঃসন্দেহে একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ। যা নেতাজির হাতে তুলে দেন মেমন আব্দুল হাবিব ইউসুফ মারফানি। শুধু মেমন নন, সেই সময় সুরতরেল আরও এক ব্যবসায়ী হুসেন মুস্তাক রন্দেরিও নেতাজির সেনায় নিজের নাম লেখান। এই দুই গুজরাতি নেতাজির দেখানো পথ অবলম্বন করে পৌঁছে যান রেঙ্গুনে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে অংশ নেন তাঁরা।