নিজের লেখা খাতা নিজেই দেখে ছাত্র পেল ১০০/১০০
আহমেদাবাদ, ১৫ জুন : নিজেই প্রথমে পরীক্ষার্থী ও পরে পরীক্ষক হয়ে উঠল এক ছাত্র। নিজের লেখা পরীক্ষার খাতা নিজেই দেখে নিজেকে ১০০-র মধ্যে ১০০ নম্বর দিল সেই ছাত্র। পরে সেই খাতা পরীক্ষা হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে জমাও দিয়ে দেয় সে।
রাজস্থানের পাঠ্য বইয়ে পড়ুয়াদের উদ্দেশে 'মা' গরু-র খোলা চিঠি!
ছেলে বিষয়টায় কাঁচা কি না, তাই অঙ্ক পরীক্ষায় বসলেন বাবা!
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতে। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হর্ষদ সারভাইয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে মামলাও দায়ের করেছে গুজরাতের উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড। এমনটা যে ঘটতে পারে সেটা বিশ্বাস করতে এখনও কষ্ট হচ্ছে বোর্ড কর্তাদের।
বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, হর্ষদ নামে ওই অভিযুক্ত ছাত্র ভূগোল ও অর্থনীতির পরীক্ষায় নিজের খাতা নিজেই দেখে পুরো নম্বর দিয়েছে। যদিও ভূগোলে শিক্ষকরা বিষয়টি ধরে ফেলেন। ও শেষপর্যন্ত সে ভূগোলে পায় ১০০-র মধ্যে ৩৫ নম্বর। তবে অর্থনীতির খাতা যারা দেখেছেন, তারা চালাকি ধরতে পারেননি। ফলে সেখানে নিজের দেওয়া শতকরা ১০০ নম্বরই হর্ষদ পেয়েছে।
ক্লাস চলাকালীনই মোবাইলে পর্ন দেখতে ব্যস্ত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী
গুজরাতের বোর্ড সচিব জিডি প্যাটেল জানিয়েছেন, বোর্ডের তৈরি কমিটি সমন পাঠিয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রকে। দোষ প্রমাণিত হলে ছাত্রটিকে আর ওই দুটি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
বোর্ডের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে শিক্ষকরা অর্থনীতির খাতা দেখার দায়িত্বে ছিলেন তাদের এই ঘটনা নিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বোর্ড সন্তুষ্ট না হলে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও।
'গরু' রচনা লিখতে ব্যর্থ শিক্ষক, মামলার নির্দেশ ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের
বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের খাতায় নিজে নম্বর দিলেও হর্ষদ নামে ওই ছাত্র একেবারে সামনের পাতায় পুরো নম্বর যোগ করে লেখেনি। এছাড়া কম্পিউটারে যখন সবকটি বিষয়ের নম্বর যোগ করে মার্কশিট তৈরি হচ্ছিল, তখনই এই জোচ্চুরি ধরা পড়ে।
বলা চলে কম্পিউটারের সফটওয়্যারই এই জোচ্চুরি ধরিয়ে দিয়েছে। কারণ হর্ষদ গুজরাতিতে পেয়েছে ১৩, ইংরেজিতে পেয়েছে ১২, সংষ্কৃত ৪, সোশিওলজিতে ২০, সাইকোলজিতে ৫ ও ভূগোলে ৩৫ নম্বর।