সমীক্ষায় ব্যাপক জয়ের পূর্বাভাসের পরেও বিজেপির সামনে সব থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জ! মোদীর কাঁধে গুজরাতের ১৮২ বিধানসভা
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বিজেপির বিপুল জয়ের পূর্বাভাসের পরেও গুজরাতে কঠিন চ্যালে়ঞ্জের মুখে বিজেপি। কোনও কোনও মহল থেকে এবারের নির্বাচনকে বিজেপির কাছে গত ৩০ বছরের মধ্যে সব থেকে কঠিন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। তবে যেহেতু
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বিজেপির বিপুল জয়ের পূর্বাভাসের পরেও গুজরাতে কঠিন চ্যালে়ঞ্জের মুখে বিজেপি। কোনও কোনও মহল থেকে এবারের নির্বাচনকে বিজেপির কাছে গত ৩০ বছরের মধ্যে সব থেকে কঠিন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। তবে যেহেতু মোদী রয়েছেন, সেই কারণেই বিরোধীদের থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
গুজরাতে কেন চ্যালেঞ্জ
- ২০১৭-র নির্বাচনের ফল থেকে বিজেপি শিক্ষা নিয়েছে। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য বিজেপির প্রয়োজন ছিল ৯২ টি আসন, সেখানে তারা পেয়েছিল ৯৯ টি আসন। সেবারই প্রথম বিজেপিকে আদিবাসীদের চাপের মুখে নড়বড়ে দেখিয়েছিল।
- গত কয়েকমাসে ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সরকার ৩০-এর বেশি আন্দোলনে মুখোমুখি হয়েছে। এর মূল বিষয় ছিল চাকরি, আউটসোর্সিং, চুক্তি চাকরির বিরুদ্ধে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটিও গঠন করে।
- এছাড়াও পুলিশ ফোর্সের হাজার হাজার পরিবার বেসিক পে গ্রেড বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্গোলনে সামিল হয়েছিল। এরপর অরবিন্দ কেজরিওয়াল পুলিশ বাহিনীকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই সরকার তাড়াতাড়ি পুলিশের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করে।
- এছাড়াও আপের তরফে বিনামূল্যে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ভাল স্কুল ও হাসপাতালের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
- সব শেষে যে ঘটনাটি ঘটে, তা হল ৩০ অক্টোবর মরবিতে ব্রিজ ভেঙে পড়া। বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে স্থানীয় জনগণ সবাই সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে।
মোদীর স্লোগান
তবে বিষয়টি বুঝতে দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে দীর্ঘদিন কাজ করার পরে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পরেও দীর্ঘদিন কাটিয়ে ফেলেছেন। তিনিই যে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারবেন, তা পরিষ্কার বুঝতে পারেন। যার জেরে রবিবার ভোট ঘোষণার পরে প্রথমবার নির্বাচনী প্রচারে নিজের রাজ্যে গিয়ে মোদী রাজ্যবাসীর উদ্দ্যেশে প্রচারের ভাষা বেঁধে দিয়ে বলেন, আমি এই গুজরাত বানিয়েছিল। তিনও দর্শকদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার এই লাইনটি উচ্চারণ করেন।
মোদীর কাঁধেই দায়িত্ব
নিজের রাজ্যে ভোট, অআর সেই ভোটে সারথি যে তিনিই তা স্পষ্ট করেন দেন, নির্বাচন ঘোষণার আগের সপ্তাহে। ৩১ অক্টোবর মোদী ৩ দিনের গুজরাত সফর শেষ করেন। এই সফরে তিনি রাজ্যের জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কিংবা তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভোট বিভাজনে সাহায্য করবে কি
কংগ্রেস ও আপের বিরোধী ভোট বিভাজনে তাদের কোনও সাহায্য করবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। অন্যদিকে পাতিদাররা এখন আর বিজেপির ভোটার নয়, তাঁরা বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেস যদি ক্ষত্রিয় (ওবিসি), হরিজনস আদিবাসী, মুসলিম ভোট (৯% মুসলিম রয়েছে গুজরাতে) ফিরে পায় তাহলে বিজেপিকে বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। সেই কাজ ভূপেন্দ্র প্যাটেল কিংবা অমিত শাহ নন, একমাত্র করতে পারবেন নরেন্দ্র মোদীই।
মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার প্রস্তুতি ইডির