রাজ্য সরকারের হাতের পুতুল পাবলিক প্রসিকিউটর, তীব্র কটাক্ষ গুজরাত হাইকোর্টের
রাজ্য সরকারের হাতের পুতুল পাবলিক প্রসিকিউটর, তীব্র কটাক্ষ গুজরাত হাইকোর্টের
গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক ধর্মেন্দ্র সিং তথা হাকুবা জাদেজার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার আবেদন খারিজ করে করেছে হাইকোর্ট। গুজরাত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি নিরল মেহেতা জানিয়েছেন, গুজরাত সরকার যে কোনও মূল্যে বিজেপি বিধায়ককে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তিনি পাবলিক প্রসিকিউটরকে রাজ্যের হাতের পুতুল বলে কটাক্ষ করেন।
গুজরাত সরকার অভিযুক্ত বিধায়ককে বাঁচাতে মরিয়া
গুজরাত হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আদালত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে কোনও মূল্যে রাজ্য সরকার বিধায়ককে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তার জন্য বৃহত্তর স্বার্থের অজুহাত দেখানো হয়েছে। রাজ্য সরকার ফৌজদারির কার্যবিধি ৩২১ ধারা অধীনে বর্তমান বিধায়ককে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এখানে রাজ্য সরকার কোনও প্রকৃত কারণ উল্লেখ করেনি। তাদের একটাই লক্ষ্য বিধায়ক যাতে কঠোর তম রায় থেকে মুক্তি পায়, সেই কারণেই এই আবেদন করা হয়েচে বলে গুজরাত হাইকোর্টের তরফে পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সরকারের হাতের পুতুল
গুজরাতে নবনিযুক্ত স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর কমলেশকুমার দাভে কীভাবে জাদেজার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বর্তমান আবেদনটি দাখিল করতে পারেন তা নিয়ে হাইকোর্ট বিস্ময় প্রকাশ করেন। এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে রাজ্য ও জাদেজার দায়ের করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল আদালত। আদালত গুজরাতে নবনিযুক্ত স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর কমলেশকুমার দাভের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
সরকারের পোস্টম্যান পাবলিক প্রসিকিউটর
গুজরাত হাইকোর্টের বিচারক নিরল মেহেতা বলেন, কমলেশকুমার দাভের আচরণে স্পষ্ট তিনি গুজরাত সরকারের হাতের পুতুল। কমলেশ কুমার দাভে শুধুমাত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খুশি করার চেষ্টা করেছিলেন। কমলেশ কুমার দাভে শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের নির্দেশে কাজ করছে। কমলেশ কুমার দাভে একজন পোস্টম্যান ছাড়া কিছু নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এরপরেই গুজরাত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি নিরল মেহতা রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়।
অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ
২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঘটনার সূত্রপাত হয়। উক্ত দিনে ২০০ থেকে ৩০০ জনের একদল জনতা খাম্বালিয়া তালুকায় এসসার কোম্পানির গেটের বাইরে জড়ো হয়েছিল। তাঁরা সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় কৃষকদের সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য জনবিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসার আকার ধারণ করে। উত্তেজিত জনতা সংস্থার বাসে পাথর ছুঁড়তে থাকে। ঘটনায় সংস্থার বাসে থাকা একাধিক কর্মী আহত হয়েছিলেন। শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সংস্থার গেটে মোতায়েন করা ছিল পুলিশকর্মী। তাঁরাও আহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে কেন আমন্ত্রণ নয়! বাইরেই বিক্ষোভে একাধিক বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ