ভোররাত পর্যন্ত শুনানির পরও অনড় গুজরাত হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত, রাজ্যে এবার রথযাত্রা নয়
ভোররাত পর্যন্ত শুনানির পরও অনড় গুজরাত হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত, রাজ্যে এবার রথযাত্রা নয়
মঙ্গলবার ভোর ২ টো পর্যন্ত দীর্ঘ শুনানি চলার পরও নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকল গুজরাত হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৩ জুন রথযাত্রা উপলক্ষ্যে আহমেদাবাদ বা রাজ্যের অন্য কোনও জায়গায় রথের শোভাযাত্রার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। গত ২০ জুন এই একই আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
রাজ্যের কোনও কৌশলই খাটল না হাইকোর্টে
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর জমা পড়া সব আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এমনকী হাইকোর্টের আগের নির্দেশের পুর্নবিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে রাজ্য সরকারের আবেদনও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। গুজরাট সরকারের হয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন যে রথের শোভাযাত্রা যে রাস্তা দিয়ে হয় সেখান দিয়েই হোক, কিন্তু কোনও সাধারণ মানুষের যোগদান ছাড়াই। রাজ্যের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছিল যে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এই শোভাযাত্রা বের করা হবে, শোভাযাত্রার সময় কোথাও রথ দাঁড় করানো যাবে না, প্রসাদ বিতরণ হবে এবং তিনটে রথের প্রত্যেকটায় পাঁচজন করে দড়ি টানবে।
সুপ্রিম কোর্ট পুরিতে রথের অনুমতি দিয়েছে
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ওড়িশার পুরিতে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়ার পর রাজ্য সরকার ও অন্য তৃতীয় আবেদনকারীদের মনে একটু হলেও আশার আলো জ্বলেছিল। যদিও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি বিক্রম নাথ কোনওভাবেই এর ওপর ভিত্তি করে রথের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়ার স্বপক্ষে ছিলেন না। তিনি জানিয়েছেন যে গুজরাতে কোভিড-১৯-এর পরিস্থিতি ওড়িশার থেকে অনেক আলাদা। এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট লক্ষ্য করে যে ওড়িশায় মহামারি খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং অনেক কম প্রাণহানি হয়েছে। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি পাঁচজন আবেদনকারী সোমবার রথের শোভাযাত্রার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। গত ২০ জুন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা নির্দেশ দেন যে এ বছর আহমেদাবাদ ও গুজরাতের অন্য জেলায় রথযাত্রা পালন করা হবে না। আদালত এও নির্দেশ দেয় যে এই সময়ে রথযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ধর্মনিরপেক্ষ বা ধর্মীয় কোনও কাজ হবে না।
অন্য আবেদনকারীরা হলেন
তৃতীয় পক্ষের আবেদনকারীদের মধ্যে একটি হিন্দু যুব বাহিনী, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, একজন রাজ্য বিজেপি মিডিয়া সেলের সদস্য, যিনি নিজেকে একজন ‘কট্টর ভক্ত' বলে পরিচিতি দেন এবং অন্য একজনকে ‘ভগবান জগন্নাথের ভক্ত' হিসাবে বর্ণনা করেন।
এ বছর মামার বাড়ি যাবেন না ভগবান জগন্নাথ
প্রত্যেক বছর সরসপুরের গোপাল লালজি রামজি মন্দির জগন্নাথের মামার বাড়িতে যায় রথ এবং আশাদি বিজের দিন সূর্যোদয়ের পর আবার ফিরে আসে। ২০ জুনের আদেশের পুর্নবিবেচনা করার আবেদনকারী দলের মধ্যে এই মন্দিরের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সুস্পষ্টভাবে, বেশিরভাগই চেয়েছিলেন যে সংক্ষিপ্ত রুটে শোভাযাত্রাটির অনুমতি দেওয়া হোক।
পুরীর রথের সামনে স্যানিটাইজেশন থেকে আচার মেনে পুজো! একনজরে কিছু ছবি