মোদীর রাজ্যে ৮ মাসে ১৬ দিন হাজিরা! সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের উত্তর জানলে ভিমড়ি খাবেন
ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার তিনি। সেইজন্য সরকারি কাজে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। শোকজের জবাবে এমনটাই দাবি করেছেন সরদার সরোবর প্রকল্পের সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার রমেশচন্দ্র ফেফার।
ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার তিনি। সেইজন্য সরকারি কাজে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। শোকজের জবাবে এমনটাই দাবি করেছেন সরদার সরোবর প্রকল্পের সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার রমেশচন্দ্র ফেফার।
কল্পি হয়ে তিনি বিশ্বজনের বিবেক শুধরোতে ব্রত করেছেন। সেইজন্য অফিসের কাজে তিনি সময় পাচ্ছেন না। শেষ আটমাসে তিনি ষোলোদিন অফিস করেছিলেন। উচ্চতর কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁর কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছিল। তারই উত্তর দিয়েছেন সরদার সরোবর প্রকল্পের সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার রমেশচন্দ্র ফেফার।
জবাবি চিঠিতে সরদার সরোবর প্রকল্পের সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার রমেশচন্দ্র ফেফার লিখেছেন, দেশের খরা বন্ধে তিনি মধ্যস্থতা (প্রার্থনা) করবেন, নাকি অফিসে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন।
কাজে উপস্থিতি নিয়ে রমেশচন্দ্র ফেফারকে শোকজ করা হয়েছিল। ২০১৭-র ২২ সেপ্টেম্বর কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে কোনও নিয়ম না মেনেই অনুপস্থিত রয়েছেন বলে ফেফারকে জানানো হয়। তার অনুপস্থিতিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ছে বলেও জানানো হয়। নোটিশ পাঠিয়ে সাত দিনের মধ্যে অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
উত্তরে রমেশচন্দ্র ফেফার জানান, ঘরে থেকে কাজ তার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনি ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার। তিনি কল্কি। রাজ্যের জন্য যে প্রার্থনা তিনি করছেন, তা অফিসে বসে করা সম্ভব নয়। সেইজন্য তিনি অফিসে শারীরিক ভাবে উপস্থিত হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনমি জানিয়েছেন, জগদম্বা মা-এর ভক্ত তিনি। তাঁর প্রার্থনার ফলেই গুজরাত খরা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
সরকারি পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ারের এই উত্তর ভাইরাল হয়ে যায়।
সরদার সরোবর পুনা ভাসভত এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, তারা রিপোর্ট পেয়েছেন। বিষয়টি গুজরাত সরকারকে জানানো হয়েছে।