সুগন্ধী বিশেষজ্ঞ মনিকা ঘুর্দেকে ধর্ষণ করে খুন, কবুল অভিযুক্তের
পানাজি, ১২ অক্টোবর : সুগন্ধী বিশেষজ্ঞ মনিকা ঘুর্দেকে খুনের আগে তাঁর উপরে শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে। অভিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষী জেরায় এইকথা কবুল করে জানিয়েছে, সে ২দিন ধরে ছাদে লুকিয়ে ছিল। পরে সময় বুঝে মনিকার ঘরে ঢুকে খুন করার আগে তাঁকে ধর্ষণ করে। [রাস্তায় তরুণীকে ২২ বার কুপিয়ে উদ্দাম নৃত্য খুনির]
গোয়া পুলিশ জানিয়েছে, অক্টোবরের ৫ তারিখ মনিকাকে সানগোলদা গ্রামে নিজের ফ্ল্যাটে খাটের উপরে বাঁধা অবস্থায় মৃত উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পরে ওই ফ্ল্যাটেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী রাজকুমার সিংকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। ['জিয়া খানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার সাজানো ঘটনা']
এই অভিযুক্ত রামকুমারই (২১) মনিকাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সে মনিকার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার চেষ্টা করছিল। জানা গিয়েছে, সে গত জুলাই পর্যন্ত মনিকা ঘুর্দের ফ্ল্যাটে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেছে। সেই মনিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে পুলিশি জেরায় কবুল করেছে। [মোবাইলের পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে খুন করাল স্বামী]
অভিযুক্ত রামকুমার আরও জানিয়েছে, মনিকা ঘুর্দেকে প্রথম দেখাতেই তার ভালো লেগে গিয়েছিল। নিজের কামনাবৃত্তি চরিতার্থ করার আগে সে টানা ২দিন মনিকার ফ্ল্যাটের ছাদে লুকিয়ে ছিল। পরে ৫ অক্টোবর সন্ধ্যাবেলায় জোর করে ঘরে ঢোকে। [কন্যার চেয়ে বেশি পুত্র ভ্রুণ হত্যা হচ্ছে ভারতে]
এরপরে মনিকার উপর ছুরি ধরে জোর খাটালে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। এই সুযোগে সে মনিকাকে খাটে শুইয়ে বেঁধে যৌন নিগ্রহ করে। পরে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে ফোন, এটিএম কার্ড ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার বাসিন্দা রাজকুমার জানিয়েছে, মনিকা ও ফ্ল্যাটের অন্যান্যদের অভিযোগের কারণেই তাকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তা এজেন্সি সেজন্য তাকে ২ মাসের মাইনেও দেয়নি। প্রতিশোধ নিতেই তাই মনিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে রাজকুমার।