করোনার ধাক্কা জিএসটি আদায়ে, ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে দিশাহীন মোদী সরকার
করোনার ধাক্কা জিএসটি আদায়ে, ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে দিশাহীন মোদী সরকার
করোনা মহামারীর কোপে বিপুল ধাক্কা জিএসটি আদায়ে। প্রায় ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে জিএসটি সংগ্রহে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই নিয়ে জিএসটির ৪১ তম বৈঠক বসেছিল। পুরোটাই ভগবানের ইচ্ছার কর্ম বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
জিএসটি আদায়ে বিপুল ঘাটতি
জিএসটি আদায়ে বিপুল ঘাটতি দেখা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণের বিপুল ধাক্কা খেয়েছে গোটা দেশে জিএসটি সংগ্রহ। ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার জিএসটি ঘাটতি দেখা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে তা অত্যন্ত সংকট জনক এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ভগবানের কর্ম
করোনা পরিস্থিতিকে ভগবানের কর্ম বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পান্ডে জানিয়েছেন, বর্তমান অর্থবর্ষে ৩ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি বাবদ আদায়ের কথা। এখনও পর্যন্ত ৬৫,০০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে মাত্র। যার জেরে এখনও ২.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হওয়া বাকি রয়েছে। আগামী ৫ বছরেও এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিও
রাজ্যগুলিতেও করোনা ধাক্কায় জিএসটি আদায় কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে কোন পথে এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে তা নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। ২০১৭ সালের জিএসটি চালুর পর এই প্রথম এত বড় ঘাটতির মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় সরকারকে। যদিও রাজ্যগুলি মাসে মাসে জিএসটি ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে।
অর্থনীতিতে প্রবল ধাক্কা
করোনা পরিস্থিতিতে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও এই নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করেছে। গতকাল লোন মোরাটোরিয়াম নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত জিএসটি আদায়ে ৪১ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে।
জিএসটি ঘাটতি পূরণে রাজ্যগুলিকে কোন ২ টি 'অপশান' দিল কেন্দ্র! ডেডলাইন ৭ দিনের