জিএসটি সংঘাত মেটাতে ১.১ লক্ষ কোটি ঋণ নেবে কেন্দ্র, রাজ্যগুলিকে চিঠি নির্মলা সীতারমনের
জিএসটি নিয়ে বিগত চারমাস ধরে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব দেখেছে দেশ। এই আবহেই জানিয়ে দেওয়া হয় টাকা না থাকায় কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। এরপরই সাংবিধানিক বিষয় নিয়ে যখন মতবিরোধ কেন্দ্রীভূত হয়, তখন বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে। কেন্দ্র, রাজ্যের সম্পর্ক ও ফেডারেল ব্যবস্থায় চিড় দেখা যায়। তবে এবার কিছুটা হলেও পিছু হয়েছে কেন্দ্র।

১.১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে প্রস্তুত কেন্দ্র
রাজ্যগুলির হয়ে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে প্রস্তুত কেন্দ্র। ওই ঋণের টাকা আবার রাজ্যগুলিকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। এবং এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পক্ষে কেন্দ্রের মতামত জানিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রত্যাশা করছেন, রাজ্যগুলি এই পদ্ধতি মেনে নেবে।

একাধিক রাজ্যের পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, একাধিক রাজ্যের পরামর্শের ভিত্তিতে, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক ভাবে এই ঋণ নেবে এবং তারপরে রাজ্য সরকারগুলির খাতে ঋণ হিসাবে এই টাকা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনুকূল সুদের হার নিশ্চিত করা ছাড়াও এর ফলে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সমন্বয় ও সরলীকরণ ঘটবে।

জিএসটি বিবাদ
উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি মেটানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে এর জন্য রাজ্য়গুলি যে বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বে, তা মেটানোর জন্য দু'টি বিকল্পের কথা বাতলেছিলেন নির্মলা সীতারমন। সেই বিকল্পগুলির মধ্যে প্রথমটিকে বেছে নিয়েছে দেশের ২১টি বিজেপিশাসিত রাজ্য।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা
তবে সীতারমনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন হবে তিন লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে জিএসটি ব্যবস্থায় আদায় করা শুল্ক থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুতরাং, মোট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২.৩৫ লাক্ষ কোটি টাকা।