সাপ্তাহিক সক্রিয় করোনা কেসের বৃদ্ধি ধীরগতিতে হচ্ছে দেশে, বাড়ছে সুস্থতার হার
সাপ্তাহিক সক্রিয় করোনা কেসের বৃদ্ধি ধীরগতিতে হচ্ছে দেশে, বাড়ছে সুস্থতার হার
একদিকে যেমন দেশে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়ে চলেছে তেমনি প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রবণতাটি শুরু হয়েছে গত শনিবার থেকে এবং তা মাত্র ছ’দিনের জন্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সক্রিয় কেসগুলির বিকাশের ক্ষেত্রে এটি ভারতকে ধীর সাপ্তাহিক গতি অর্জনে সহায়তা করেছে। সক্রিয় কেসের সংখ্যা ফের আরও একবার ১০ লক্ষের নীচে নেমে এসেছে।
দেশে সক্রিয় কেস ধীর গতিতে বিকাশ
সক্রিয় কেস ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে অধিকাংশ রাজ্যই এ সপ্তাহে ধীর গতিতে বিকাশ হয়েছে। তবে কেরলকে নিয়ে ফের চিন্তার বিষয় দেখা দিয়েছে, একসপ্তাহের মধ্যে এ রাজ্যে দশ হাজারের বেশি সক্রিয় কেস দেখা দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা সব রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। কিছু সপ্তাহের জন্য ছত্তিশগড় হটস্পটে পরিণত হয়েছিল, তবে শেষ সপ্তাহে ৪১ শতাংশ সক্রিয় কেসের তুলনায়, এ সপ্তাহে ১২ শতাংশ কেস রেকর্ড হয়েছে। রাজ্যে করোনা টেস্টও যথেষ্ট কম। মহারাষ্ট্র, যেখানে সম্প্রতি সংক্রমণ আবার চাড়া দিয়ে উঠেছে, শেষ সাত দিনে কিছুটা উন্নতি করেছিল।
স্থায়ী নয় এই প্রবণতা
যদিও এ ধরনের প্রবণতা স্থায়ী নয়। একই ধরনের ধীর বিকাশের ট্রেন্ড দেখা গিয়েছিল অগাস্টের মধ্যভাগে কিন্তু তা সেপ্টেম্বরের প্রথমভাগ পর্যন্ত দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে ৯১,১৪৯ জনের, এক সপ্তাহে ১০ শতাংশ লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যু, জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছ থেকে। কেরল ও উত্তরপ্রদেশ এই দুই রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০, অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীর দেশের ১৪তম রাজ্য যেখানে মৃত্যু সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম করেছে। কর্নাটকে ৮০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দিল্লিকে অতিক্রম করার পর মৃত্যুর দিক দিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
দশ হাজারের বেশি সক্রিয় কেস
২১টির বেশি রাজ্যে দশ হাজারের বেশি সক্রিয় কেস রয়েছে এখন। তবে ছত্তিশগড় ও জম্মু-কাশ্মীর বাদে। কারই এই দুই রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার হার ৭০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। প্রায় ৬১ শতাংশ রোগী সেরে উঠেছে ছত্তিশগড়ে এবং ৬৯ শতাংশ জম্মু-কাশ্মীরে। সাম্প্রতিক সপ্তাহে এই দুই রাজ্যে করোনা কেসের বোঝা কমেছে। কেরল সক্রিয় কেসের ক্ষেত্রে সাপ্তাহিকভাবে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সবচেয়ে খারাপ বলে জানা গিয়েছে। যেখানে জম্মু-কাশ্মীরে ২৪ শতাংশ ও উত্তরাখণ্ডে ১৮ শতাংশ। এই সমস্ত পরিসংখ্যান সাতদিনের গণনার ওপর ভিত্তি করে হয়। শুধুমাত্র দশ হাজারের বেশি সক্রিয় কেসের রাজ্যগুলিকে এক্ষেত্রে বিবেনা করা হয়। দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৬৬,৩৮২, যেখানে ৪,৬৭৪,৯৮৭ জন রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাঁচটি রাজ্যে অধিকাংশ মৃত্যু
দেশে পাঁচটি রাজ্য মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে অধিকাংশ মৃত্যু দেখা দিয়েছে। এই পাঁচ রাজ্য মিলে দেশের মোট মৃত্যুতে ৬৮ শতাংশ অবদান রেখেছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে যেখানে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, সেখানে ছত্তিশগড়, কেরল ও অসমে এই সপ্তাহে মৃত্যুর হার লাফিয়ে বেড়েছে।
নিশ্চিত কেসের সংখ্যায় তৃতীয় নম্বরে বেঙ্গালুরু
এই সপ্তাহে কর্নাটকের বেঙ্গালুরু তৃতীয় শহর যেখানে দু লক্ষ নিশ্চিত কেসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বেঙ্গালুরুর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে পুনে ও দিল্লি। এখনও পর্যন্ত দেশের ২১৯টি জেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার নিশ্চিত কেস পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বৃহৎ আকারের সংখ্যা রয়েছে মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া (৪৩ শতাংশ) ও চন্দ্রাপুর (৩৬ শতাংশ), উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন (৪১ শতাংশ)। গত ১৫ দিনে দশটি রাজ্যের মধ্যে দিল্লি ও অন্ধ্রপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি করোনা টেস্ট হয়েছে এবং ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে কম টেস্ট দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫,৭৩২,৫১৮।
সুস্থ মানুষের শরীরে কোভিড–১৯ ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে নতুন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ব্রিটেনে