মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে লকডাউন নিয়ে তীব্র শরিকি দ্বন্দ্ব, মহারাষ্ট্রে বিরোধিতা বিজেপির
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে লকডাউন নিয়ে তীব্র শরিকি দ্বন্দ্ব, মহারাষ্ট্রে বিরোধিতা বিজেপির
দিন যত গড়াচ্ছে ততই ক্রমে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতির। দৈনিক সংক্রমণেও ভাঙছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অন্যদিকে করোনা ঠেকাতে যে লকডাউন ছাড়া আর কোনও রাস্তাই খোলা নেই তা কর্যত পরিষ্কার সরকারি আধিকারিকদের কথাতেই। এমনকী করোনা দমাতে সম্পূর্ণ লকডাউনের ইঙ্গিত দিতে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকেও।
লকডাউন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ বিরোধীদের
আর এই সিদ্ধান্তেই বাড়ছে উদ্বেগ। পুনরায় অর্থনীতির করুণ পরিণতির কথা চিন্তা করে লকডাউন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিরোধীরা। আপত্তি প্রকাশ করছেন শিল্পপতিরাও। এদিকে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র নয়, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে পাঞ্জা, দিল্লিও। যদিও বর্তমানে বিজেপি, এনসিপি ও শিল্পপতি আনন্দ মহীন্দ্রার তরফে এই লকডাউনের কড়া বিরোধিতা করা হয়েছে।
কোভিড টাস্ক ফোর্সের জরুরি বৈঠক উদ্ধবের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের লকডাউন নিয়ে রবিবারই কোভিড টাস্ক ফোর্সের জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এমনকী প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের দ্রুত সম্পূর্ণ লকডাউন চালু করার জন্য প্রস্তুতিও নিতে বলেন তিনি। তবে তাঁর সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করতে দেখা যায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে। অন্যদিকে অজিত পাওয়ারের পাশাপাশি লকডাউনের বিরোধিতা করতে দেখা যায় এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের আর এক নেতা নবাব মালিককেও।
উদ্বেগ প্রকাশ এনসিপির
লকডাউন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নবাবকে বলতে শোনা যায়, " আরও একটা লকডাউন সহ্য করার মতো ক্ষমতা আমাদের কারও নেই। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে অন্য বিকল্প ভাবার কথা বলেছি। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকার কারণেই তিনি মূলত সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তা ছাড়া আর উপায় নেই। যদি সাধারণ মানুষ বিধি মেনে চলেন তাহলেও কিন্তু করোনা দমন সম্ভব। "
লকডাউনের বিরোধিতায় বিজেপিও
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে লকডাউনের সরাসরি বিরোধিতা করতে দেখা যায় মহারাষ্ট্র বিজেপিকেও। লকডাউন হলে মহারাষ্ট্রের অসংগঠিত ক্ষেত্রের লক্ষ লক্ষ মানুষ চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে সোমবার দাবি করেছেন মহারাষ্ট্র বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল। এদিকে দেশের করোনা তালিকায় এখনও শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গোটা রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ লক্ষ ৪৫ হাজারেরও বেশি।
ভোটে লড়তে সিঙ্গুর ছেড়ে নন্দীগ্রামকেই কেন বেছে নিয়েছেন মমতা, প্রচারের শেষ দিনে জানিয়ে দিলেন দিদি