কেন্দ্রের ভাঁড়ারে মজুত মাত্র ৫ দিনের ভ্যাকসিন, রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে টিকা উদ্বেগ
কেন্দ্রের ভাঁড়ারে মজুত মাত্র ৫ দিনের ভ্যাকসিন, রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে টিকা উদ্বেগ
গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনার কবলে পড়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। যা ভারতে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এদিকে করোনাকে বাগে আনতে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় নতুন করে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ভাবনা আর বাস্তবের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে তা বর্তমান চিত্রেই পরিষ্কার।
পাঁচ দিনেই ফুরবে ভাঁড়ার
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ভাঁড়ারে রয়েছে আর মাত্র পাঁচ দিনের করোনা টিকা। তাই রাজ্যগুলি থেকে একের পর অর্ডার এলেও সাপ্লাই কতদূর করা যাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে দুশ্চিন্তা। এদিকে বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে যে পরিমাণ করোনা টিকা রয়েছে তাতে মেরেকেটে দুদিনের টিকাকরণ চালানো সম্ভব বলে জানা যাচ্ছে। নতুন টিকা সরবরাহ না হলে গোটা প্রক্রিয়াই থমকে যাবে বলে খবর।
কেন্দ্রের কাছে মজুত ৪ কোটি টিকা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে এখনও ৪ কোটির বেশি টিকা ডোজ মজুত রয়েছে। বর্তমানে গোটা দেশে গড়ে প্রত্যহ ৩৩ থেক ৩৫ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হচ্ছে বলে খবর। এই হারে চলতে থাকলে আগামী ১২ দিনের মধ্যে শূন্য হবে ভাঁড়ার, খবর এমনটাই। অন্যদিকে বর্তমানে ওড়িশায় যে পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে সেখানেও আগামী ৪ দিনের মধ্যে ভাঁড়ার শূন্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
কোন রাজ্যে কত স্টক রয়েছে ?
এদিকে
অন্ধ্রপ্রদেশের
মূল
যে
স্টক
রয়েছে
তাতে
আগামী
১.২
দিনের
টিকাকরণ
সম্পন্ন
হলেও
ব্যাকআপে
থাকা
টিকা
দিয়ে
মেরেকেটে
তা
আরও
১৪
দিন
চালানো
সম্ভব
বলে
জানা
যাচ্ছে।
বিহারে
যা
টিকা
রয়েছে
তাতে
১.৬
দিনের
টিকাকরণ
সম্পন্ন
হলেও
ব্যাকআপে
থাকা
টিকা
দিয়ে
তা
আরও
৮
দিন
চালানো
সম্ভব
বলে
জানা
যাচ্ছে।
যদিও
উত্তরাখণ্ডে
বর্তমানে
যে
পরিমাণ
করোনা
টিকা
রয়েছে
তাতে
মেরে
কেটে
আর
তিনদিন
টিকাকরণ
চলবে
বলে
খবর।
একনজরে ভারতের টিকাকরণ
এদিকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোটা দেশে ৯ কোটি ৪০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৮৯ জনরে করোনা টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এমনটাই বলছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান। এখনও পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৮৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ১২২ জন স্বাস্থ্যকর্মী। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ২০৬ স্বাস্থ্য কর্মী। যদিও মোদীর বৈঠকের পর টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় নতুন করে জোয়ার আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।