বাড়ছে উদ্বেগ! দেশজোড়া আতঙ্কের মাঝে নষ্ট ২৩ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ, নেপথ্যে কী কারণ?
করোনা টিকা আতঙ্ক সহ একাধিক জটিলতার জের! নষ্ট হয়ে গেল ২৩ লক্ষ ডোজ
কেন্দ্রীয় তথ্যানুসারে ইতিমধ্যে গোটা দেশে প্রায় ৭ কোটি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। তারমধ্যে ৩.৫৬ টিকার ডোজও দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বাকি করোনা টিকার মধ্যে ৬.৫ শতাংশ ডোজই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার না করার কারণেই এই অবস্থা বলে জানা যাচ্ছে।
নষ্ট হয়ে গেল ২৩ লক্ষ ডোজ
সূত্রের খবর, মোট নষ্ট হওয়া করোনা টিকা ডোজের পরিমাণ প্রায় ২৩ লক্ষের কাছাকাছি। এদিকে ১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে প্রথম করোনা টিকাকরণ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই ৬৩ তম দিনে পা দিয়েছে ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, ও সিরাম ইন্সস্টিউটের হাতে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডই দেওয়া হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে।
ঠিক কী কারণে বাড়ছে জটিলতা ?
এদিকে সূত্রের খবর, কোভিশিল্ডের একটা ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা থাকে। সেখানে কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা প্রায় ২০। প্রতি ডোজে একজন ব্যক্তিকে একবার দেওয়া জন্য ০.৫ মিলিলিটার করে করোনা টিকা থাকে। সূত্রের খবর, এই ভায়াল একবার খোলা হলে তা ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় তা আর শরীরে কার্যকরী হবে না।
টিকা ভয়ই কী নষ্টের মূল কারণ ?
সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল সংক্রান্ত জটিলতা, বিভিন্ন ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কো-উইন অ্যাপে সমস্যা সহ একাধিক কারণে অনেকই টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। অনেকেই নাম লিখিয়েও একাধিক কারণে ভয় পেয়ে পিছিয়ে গিয়েছেন। ফলস্বরূপ প্রথম পর্যায়ে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যেতে পারেনি সরকার। নষ্ট হয়েছে লক্ষ লক্ষ করোনা টিকা।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?
এদিকে সময় সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে ইতিমধ্যেই সপ্তাহে ৭ দিন ও ২৪ ঘণ্টাই টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও তারপরেও মাত্র কয়েকটি জায়গাতেই দিবারাত্র টিকাকরণ চলছে। বাকি জায়গায় শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়েই হচ্ছে টিকাকরণ। এই ক্ষেত্রে ভায়াল খোলার ৫ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত গ্রহীতারা না এলে ভায়ালে থাকা বাকি ডোজগুলি নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর সুরেশ কুমার।
কোন রাজ্যে কত পরিমাণ করোনা টিকা নষ্ট হল ?
এদিকে গোটা বিশ্বের টিকাকরণ যজ্ঞে একেবারে শীর্ষ তালিকাতেই রয়েছে ভারত। সেই সংখ্যা এখও পর্যন্ত টিকা প্রদানের নিরিখেও রয়েছে শীর্ষ স্থানে। অন্যদিকে সর্বাধিক করোনা টিকা নষ্ট হয়েছে তেলেঙ্গানায়। সেখানে এই পরিমাণ প্রায় ১৭.৫ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে এই পরিমাণ ১১.6 শতাংশ।উত্তরপ্রদেশে ৯.৪ শতাংশ। কর্ণাটকে ৬.৯ শতাংশ। জম্মু-কাশ্মীরে ৬.৬ শতাংশ।
অনলাইন ট্রেডিংয়ের দুনিয়ায় নয়া দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই সংস্থা! হোলিতে রয়েছে একাধিক দুর্দান্ত অফার