বিয়ে করতে এসে হল না শুভদৃষ্টি! মাথা ন্যাড়া হয়ে ফিরল পাত্র
লখনৌয়ে ঘটে গেল অদ্ভুত ঘটনা। বিয়ে করতে এসে পাত্রকে ফিরতে হল মাথা ন্যাড়া হয়ে।
উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে ঘটে গেল অদ্ভুত ঘটনা। বিয়ে করতে এসে পাত্রকে ফিরতে হল মাথা ন্যাড়া হয়ে। হল না সাত পাক ঘোরা, হল না শুভদৃষ্টি। বদলে গঞ্জনা তো জুটলই, মাথা কামানোয় খোয়া গেল সম্মানও। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা জানলে কিছুটা অবাকই হতে হয়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে খুরাম নগর এলাকায়। শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারপাশে।
পাত্রকে হেনস্থা
পাত্রের নাম আবদুল কালাম। তিনি বিয়েতে বাইক দাবি করেছিলেন পণ হিসাবে। তবে যে বাইক দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে তিনি খুশি ছিলেন না। ফলে আরও একটি বাইকের দাবি করে বসেন তিনি। একইসঙ্গে সোনার চেনও যৌতুকে চান।
পণের বিশাল দাবি
কনেপক্ষের দাবি, বিয়ের মাত্র পাঁচদিন আগে এইসব দাবি করা হয়। বাইকের দাবি শুনে নিমরাজি হলেও ফের সোনার চেনের দাবিতে বেঁকে বসে পাত্রীর পরিবার। সরাসরি জানিয়ে দেয়, এত দাবি তাঁরা পূরণ করতে পারবেন না। তবে ততক্ষণে বিয়ের দিন উপস্থিত। পাত্র লোকজন সমেত বিয়ে করতে চলে এসেছেন।
কনেপক্ষের না
সেখানেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পাত্র আবদুলকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সেখানেই কেউ তার চুল কেটে দিয়েছে। তবে কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তাঁরা জানেন না বলে জানিয়েছে কনেপক্ষ। তাঁদের দাবি, বিয়েতে ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটর, কুলার, টিভি, বাইক সব দেওয়ার কথা হয়েছিল। তারপরই বিয়ের দিন ঠিক হয়। তারপরও নতুন করে পণের দাবি মানা সম্ভব ছিল না।
পুলিশের সমঝোতা
ঘটনার পর বিয়েবাড়িতে পুলিশ চলে আসে। দুই পক্ষকে শান্ত করানো হয়। শেষ অবধি বিয়ে ভেস্তে গিয়েছে। তবে কোনও পক্ষই কোনও মামলা করেনি। লোকজন নিয়ে বর আবদুল কালাম ফিরে গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন:ছত্তিশগড়ে ৪০জন তারকাকে প্রচারে নামাচ্ছে বিজেপি, কারা রয়েছেন তালিকায়]