৫০ লক্ষ টাকা মানহানি মামলা বরের বিরুদ্ধে, উপহার দিল বন্ধু কিন্তু কেন জানেন?
বিয়ে নিয়ে অনেক ধরনের মজার ঘটনাই সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়ে। তবে উত্তরপ্রদেশের এই অদ্ভুত ঘটনা আপনাকে সজাগ করে দিতে সহায়তা করবে যে বিয়েতে কোন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। এই রাজ্যের এক ব্যক্তি, যাঁর নাম চন্দ্রশেখর, তিনি বর রবির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন এই মর্মে যে তাঁকে নিয়ে বিয়েতে যায়নি বর। অথচ চন্দ্রশেখরকে বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়েছিল।
বরের বিরুদ্ধে মামলা করা ওই ব্যক্তির দাবি যে বরযাত্রী আসার আগেই বর বিয়ের শোভাযাত্রা নিয়ে বেরিয়ে যান এবং আমন্ত্রণ পত্রে উল্লেখিত সময়ের আগেই বর বিয়ে করতে চলে যান। এখানে উল্লখ্য, আমন্ত্রণ পত্রে সময় বলা ছিল বিকেল পাঁচটা কিন্তু বিয়ের দিন বিকেল ৪টে ৫০ নাগাদ বরের বন্ধু ও বাকি বরযাত্রীরা এসে দেখেন যে বর ইতিমধ্যেই বিয়ে করতে বেরিয়ে যান। এরপর বর তাঁর বন্ধুর কাছে ক্ষমা না চেয়ে বরং তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। এতে সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হন বিয়েতে আসা বরযাত্রীরা। তাঁরা চন্দ্রশেখরকে অত্যন্ত বকাঝকা করেন কারণ তিনি বিয়ের কার্ড বিতরণ করেছিলেন। এরপরই মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির নোটিশ পাঠানো হয় ওই বন্ধুর তরফে। সেই প্রসঙ্গে হরিদ্বারের আইনজীবী অরুণ ভাদৌরিয়া জানিয়েছেন যে, বাহাদুরাবাদের বাসিন্দা রবি তাঁর বন্ধু চন্দ্রশেখরকে বিয়ে উপলক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তাঁকে বরযাত্রী হিসেবেও যেতে বলেন। কিন্তু রবি তাঁর বন্ধুকে না নিয়ে সময়ের আগেই বিয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলেন। চন্দ্রশেখর পৌঁছে দেখেন যে, তাঁরা আগেই চলে গিয়েছেন। এরপরই তিনি সেই মানহানির মামলা করেন।
বন্ধু চন্দ্রশেখর জানান যে তাঁকে ক্ষুব্ধ বরযাত্রীদের কাছে মানসিক নির্যাতন হতে হয়েছে, যাঁদের ছেড়ে বর চলে যান। বর রবি তাঁর বন্ধু চন্দ্রশেখরের ভাবমূর্তি খারাপ করেছেন। এমনকি, চন্দ্রশেখর ফোনে রবিকে মানহানির নোটিশ পাঠানোর হুমকিও দেন। কিন্তু তারপরেও রবি বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। এমতাবস্থায়, রবির উদ্দেশ্যে মানহানির জন্য ৫০ লক্ষ টাকার আইনি নোটিশ পাঠান চন্দ্রশেখর। শুধু তাই নয়, তিন দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এর মধ্যেই সেই ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।