ছাড়পত্র মিলেছে! জানুন ভারতের কতজনের ভাগ্যে রয়েছে বিনামূল্য করোনা ভ্যাকসিন?
ভারতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর৷ যদিও এখন পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার উপর৷ এদিকে নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ বিনোদ পাল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার মাত্র ৩০ কোটি মানুষের ভ্যাকসিনের দাম দিতে পারবে। যাদের প্রয়োজন এমন ৩০ কোটি মানুষকে সরকার ভ্যাকসিন দেবে।
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে গাঁটছড়া
পুনেতে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে৷ ইংল্যান্ডের মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি বা এমএইচআরএ বুধবার এই ভ্যাকসিন মানব শরীরে ব্যবহারের অনুমতি দেয়৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছেন ও ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা এর প্রস্তুতকারক।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের বিষয়ে আবেদনের পর্যালোচনা
সিডিএসসিও-র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি বা এসইসি আগেই সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বা এসআইআই-র থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষা ও অনাক্রম্যতা সংক্রান্ত তথ্য চায়৷ পরে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য বুধবার বৈঠকে বসে তারা৷ শুক্রবার ফের তা পর্যবেক্ষণের জন্য বৈঠকে বসে৷ পিটিআই সূত্রে খবর, এসআইআইয়ের আবেদনের পর এসইসি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের বিষয়ে আবেদনের পর্যালোচনা করে৷
কোভিশিল্ড নিরাপদ
এসআইআইয়ের গভর্নমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরির অতিরিক্ত অধিকর্তা প্রকাশ কুমারের সিংয়ের সই করা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের আবেদনপত্র অনুযায়ী, সুরক্ষার বিষয়ে কোভিশিল্ড উত্তীর্ণ হয়েছে৷ তাই কোভিশিল্ড নিরাপদ৷ এবং নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর উপর কোরোনা প্রতিরোধে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে৷ তাই, ঝুঁকির ক্ষেত্রে এর উপকারিতার অনুপাত থেকে স্পষ্ট ব্যাপকভাবে কোভিশিল্ড ব্যবহার করা যেতে পারে৷
ফাইজার ৮ ডিসেম্বর রেগুলেটরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করে
৬ ডিসেম্বর এসআইআই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআইয়ের কাছে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করে৷ অন্যদিকে ভারত বায়োটেক কোভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য ৭ ডিসেম্বর আবেদন করে৷ এদিকে ফাইজার ৮ ডিসেম্বর রেগুলেটরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করে৷