অবশেষে সংঘাতের অবস্থান থেকে সরছে চিন! বড় কূটনৈতিক জয় ভারতের?
সীমান্তে ক্রমশ সংঘাত বাড়ছে ভারত এবং চিনের মধ্যে! ভারতের নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়েই লাগাতার সীমান্তজুড়ে নির্মান কাজ চালাচ্ছে কমিউনিস্ট চিন। এমনকি বিতর্কিত এলাকাগুলিতে লাগাতার সামরিক ঘাঁটি, ব্রিজ তৈরি'র কাজ চালানো হচ্ছে। যা নিয়ে
সীমান্তে ক্রমশ সংঘাত বাড়ছে ভারত এবং চিনের মধ্যে! ভারতের নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়েই লাগাতার সীমান্তজুড়ে নির্মান কাজ চালাচ্ছে কমিউনিস্ট চিন। এমনকি বিতর্কিত এলাকাগুলিতে লাগাতার সামরিক ঘাঁটি, ব্রিজ তৈরি'র কাজ চালানো হচ্ছে। যা নিয়ে লাগাতার উত্তেজনা রয়েছে।
আর এই উত্তেজনার মধ্যেই গত কয়েকদিন আগে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে যুদ্ধ বিমান ওড়ায় চিন। যা নিয়ে নতুন করে ভারত এবং চিনের মধ্যে টেনশন শুরু হয়েছে। আর এই চাপা টেনশনের মধ্যেই ফের একবার আলোচনার বার্তা। ভারত-চিন কোর কমান্ডার স্তরে রবিবার একটি বৈঠক হয়। আর ওই বৈঠকের পরেই মনে করা হচ্ছে ভবিষ্যতে উভয় পক্ষই অর্থাৎ ভারত এবং চিন প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যম এনআইএ'কে জানিয়েছেন, ১৬ তম দফায় কর্পস কমান্ডার-স্তরে একটি আলোচনা হয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে চুশুল-মোল্ডো সীমান্ত মিটিং পয়েন্টে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন। যেখানে মূলত বিতর্কিত জায়গা থেকে সেনা সরানো নিয়েই আলোচনা হয়।
জানা যায়, ওই আলোচনায় দুই দেশই সেনা সরানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আগামীদিনে ভারত এবং চিনের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে সংবাদমাধ্যমকে সরকারি ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিতর্কিত যে জায়গাতে ভারতীয় সেনা রয়েছে সেখান থেকে পিছিয়ে যাবে তাঁরা। আর তা পিছিয়ে করমসিং হিলের দিকে চলে যাবে।
অন্যদিকে চিনও বর্তমান অবস্থান থেকে সরে যাবে বলেই ওই বৈঠক দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা সহমত বলে দাবি ওই আধিকারিক। চিন পিছিয়ে LAC বরাবর পয়েন্ট 5170 দিকে সরে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, ২০২০ সালের মে মাসে, চিনের সেনাবাহিনী পূর্ব লাদাখের LAC-তে বরাবর উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা চালায়।
আর এরপরেই পয়েন্ট ১৫-তে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী কার্যত মুখোমুখি পজিশনে দাঁড়িয়ে যায়। আর এরপর থেকে একাধিকস্তরে আলোচনা শুরু হয়। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, বিতর্কিত জায়গা থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত চিন সেনা সরাবে না, দাঁড়িয়ে থাকবে ভারতীয় সেনাও। আর এই বিতর্কের মধ্যেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন সেনা বিশ্লেষকরা।
তবে একদিকে যখন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চায় ভারত অন্যদিকে বিতর্কিত ডোকালামে চিনের একাধিক নির্মাণ কাজের ছবি সামনে এসেছে। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।