ফসলে ন্যূনতম সহযোগী মূল্য বাড়িয়ে কৃষকদের পাশে মোদীর কেন্দ্র
শীতকালীন ফসলে ন্যূনতম সহযোগী মূল্য বাড়িয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করার ঘোষণা করেছে। তার জন্য নানা উদ্যোগও সরকার গ্রহণ করেছে। এই মাসের শুরুতে শীতকালীন ফসলে ন্যূনতম সহযোগী মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। যাতে কৃষক অন্তত চাষের খরচের ৫০ শতাংশ বেশি ঘরে তুলতে পারে।
২০১৬ থেকে পরপর বছরগুলিতে অতিরিক্ত ফলনের ফলে কৃষিতে আয় কমেছে। অনেকে প্রাপ্য দাম পাননি। ফলে জুলাইয়ে ১৪টি খারিফ শস্যের ন্যূনতম সহযোগী মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। যা এবারের বাজেটে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি পিএম-আশা নামে আর একটি প্রকল্প সরকার ঘোষণা করেছে।
দেশের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার মুখে খাবার তুলে দেওয়া কৃষিজীবী মানুষদের পাশে কেন্দ্র রয়েছে। বারবার সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারতের মোট শ্রমজীবী মানুষের ৫০ শতাংশ কর্মরত। ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক রূপরেখা নির্ধারণে এই অংশের মানুষের যোগদান সবচেয়ে বেশি।
[আরও পড়ুন: মোদীর হাতে সর্দার প্যাটেলের মূর্তি উন্মোচন, নেপথ্যে বইছে ক্ষোভ ও আতঙ্কের চোরাস্রোত]
ব্রাজিল বা চিনের মতো দেশ যেভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে, তেমনভাবেই ভারতকেও চেষ্টা চালাতে হবে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ভারত খুব সহজে তার জনসংখ্যার পেট ভরাতে পারে ও চাল-গম বিদেশে রপ্তানি করতে পারে।
[আরও পড়ুন: রাহুলের ভুল ধরিয়ে দিল বিজেপি! ১০০ বার অনুশীলনের পরামর্শ গেরুয়া শিবিরের ]
পাইকারি বাজারে সহায়ক মূল্যের ওঠানামার কারণে চাষিদের মনে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেটা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ঘোষণায় দূর হয়েছে। অনেক সময় যা চাষের খরচ সেটাও কৃষকরা পেতেন না। এখন সেই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে ভারতীয় চাষিরা দরিদ্রই রয়েছেন। যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা মাঠে হাড়ভাঙা খাটুনির পরে সামান্য রোজগার করেন। সেই অবস্থা বদলেই কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগ কতটা ইতিবাচকতা আনতে পারে সেটাই এখন দেখার।
[আরও পড়ুন:এনআরসি এফেক্ট! অসমে শানকে গাইতে বাধা, কী বলছেন বাঙালি গায়ক ]