Covid In India: চিনের ওপরে কড়া নজরদারি! ভারতের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কোন বার্তা সরকারি প্যানেলের
Covid In India: চিনের ওপরে কড়া নজরদারি! ভারতের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কোন বার্তা সরকারি প্যানেলের
চিনে ফের কোভিড সংক্রমণ। সেখানকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের তিন মাসে অন্তত তিনটি তরঙ্গের দেখা মিলতে পারে এবং লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। প্রতিবেশী চিনের এই রিপোর্টের পরে অনেকেই আতঙ্কিত। তাহলে কি ফিরতে চলেছে ২০২০-২১-এর দিনগুলি। এব্যাপারে ভারতের কোভিড সংক্রান্ত সরকারি প্যানেলের তরফে মঙ্গলবার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই
ভারতের কোভিড সংক্রান্ত একটি সরকারি প্যানেলের তরফে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, চিনের কোভিড পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। তবে সেখানে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে ভারতবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপ এনটিডিআই-এর চেয়ারম্যান এনকে অরোরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়াও ভারতবাসীদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সংখ্যার বড় অংশকে কার্যকরী ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে টিকাকরণ করা হয়েছে। এনকে অরোরা আরও বলেছেন, এটা ঠিক যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে এটাও কারণ যে ওমিক্রনের অনেক সাব-ভ্যারিয়েন্ট এদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
ভারতের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিন সকালে দেওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সোমবার সারা দেশে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৭ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ১১২। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৯০-এ নেমে এসেছে। ১৮ ডিসেম্বর রবিবার শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ১২। যা ২০২০ সালের মার্চে দৈনিক কোভিডে মৃত্যুর রিপোর্ট শুরু হওয়ার পর থেকে সব থেকে কম। ইতিমধ্যে তিন দিন দেশে করোনায় কোনও মৃত্যু হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। সাপ্তাহিক শনাক্তের সংখ্যা নেমেছে ১১০৩-ত। যা দেশে কোভিড লকডাউন শুরু অর্থাৎ ২০২০-র মার্চের ২৩-২৯-এর সপ্তাহের থেকেও কম।
চিনে সংক্রমণ বাড়ছে
বেজিং-সহ চিনের বিভিন্ন শহরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশই আশঙ্কা প্রকাশ করছে চিনে কোভিড শুরুর সময়ের মতো এখনও সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রকৃত সংখ্যা আড়াল করা হচ্ছে।
চিনে তুলে নেওয়া হয়েছে জিরো কোভিড নীতি
সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের জেরে চিনে ইতিমধ্যেই জিরো কোভিড নীতি তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সন্দেহ হলেই পরীক্ষার যে নীতি আগে অনুসরণ করা হত, তাই শিথিল করা হয়েছে। শিথিল করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়মও। জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসার পরেই চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মী সংখ্যায় ঘাটতি দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সেখানকার জনসংখ্যার অন্তত ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হতে পারেন।