ঋণের বোঝায় ধুঁকছে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি! দেউলিয়া হলেও এবার নিস্তার নেই খেলাপিদের
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের খোঁচার পর এবার সরকারি ব্যাঙ্কগুলি ঋণ খেলাপিদের থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে ব্যক্তিগত গ্যারান্টিও বাজেয়াপ্ত করা হবে ঋণ খেলাপিদের। যাদের সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণা করে ঋণশোধ করা থেকে পার পেয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
ঋণের পরিমাণ আগামী অর্থবর্ষে ১৭০ লক্ষ কোটি
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় খরচ বেড়েছে সরকারের। যার জেরে ভারতের মোট ঋণের পরিমাণ আগামী অর্থবর্ষে ১৭০ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ যা দেশের জিডিপি-র ৮৭.৬ শতাংশ। জানায়, এসবিআই ইকোর্যাপ। এই অবস্থায় ঋণ খেলাপির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক প্রকার বদ্ধ পরিকর সরকারি ব্যাঙ্কগুলি।
জিডিপি-র ৭২.২ শতাংশ ঋণের পরিমাণ
এর আগে এসবিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে এই ঋণের অঙ্ক ফিসক্যাল রেস্পন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট-এর লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মিলিত হয়ে ২০২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ঋণের বোঝা আরও বাড়িয়ে দেবে। যা দেশের জিডিপি-র ৬০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। চলতি অর্থবর্ষে দেশের ঋণের বোঝা প্রায় ১৪৯.৬ লক্ষ কোটি, যা দেশের জিডিপি-র ৭২.২ শতাংশ। ২০১২ অর্থবর্ষে ছিল প্রায় ৫৮.৮ লক্ষ কোটি টাকা।
নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ
এর ফলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও সাত বছর লেগে যাবে৷ অর্থাৎ ২০৩০ অর্থবর্ষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে। বেশি মাত্রায় ঋণের পরিমাণকে বাড়িয়ে ১৭০ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে দেবে। এরমধ্যে বাইরে থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৬.৮ লক্ষ কোটির কাছাকাছি বেড়ে যাবে, যা দেশের জিডিপি-র প্রায় ৩.৫ শতাংশ। বাকি ঘরোয়া ঋণ, রাজ্যের ঋণ সব মিলিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে দেশের জিডিপি-র ২৭ শতাংশ।